রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় বাকিবুর রহমানকে। তারপর শ্রীঘরে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই মামলায় ইডি-র দাবি, নগদে কোটি কোটি টাকা বেআইনি লেনদেন হয়েছে। যার সন্ধানে লাগাতার তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডির গোয়েন্দারা। ইডি সূত্রে খবর, তল্লাশির সময় অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডের দফতর থেকে ১ কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য জায়গায় অভিযান চালিয়ে মিলেছে আরও চল্লিশ লক্ষ টাকা নগদ।
শনিবার ভোর থেকে রেশন দুর্নীতির তদন্তে টানা তল্লাশি অভিযানে নামেন ইডির গোয়েন্দারা। উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়ায় একাধিক চালকল, আটা কল, রেশন ব্যবসায়ী এবং উলুবেড়িয়ার একটি চাল কলে চলানো হয় তল্লাশি। সেসব জায়গা থেকে নগদ টাকার পাশাপাশি প্রচুর নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি আধিকারিকরা।
ইডি সূত্রেজানা যাচ্ছে, রেশন দুর্নীতির কাণ্ডে জড়িত রয়েছে একাধিক ফড়ে ও ব্যবসায়ীও। এই সূত্রেই নাম উঠছে অঙ্কিত চান্দক ও দীপেশ চান্দক নামে দুই ব্যবসায়ীর। এর মধ্যে দীপেশ চান্দককে ২০০৪ সালে বিহারে পশুখাদ্য মামলায় গ্রেফতারও করা হয়েছিল। তদন্তে চান্দক পরিবার পরিচালিত অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডেও হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেই অফিস থেকেই উদ্ধার হয় ১ কোটি নগদ। রেশন দুর্নীতিতে অপরাধমূলক পথই এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস বলে মনে করছে ইডি।
রেশন দুর্নীতি মামলায় আদালতের ইডি জানিয়েছে যে, রেশনে আটার বস্তা থেকে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত সরানো হত। অথচ সেই কম ওজনের বস্তার জন্যই রেশন ডিলাররা পুরো দাম দিয়ে দিতেন। আবার সেই টাকা সরকারের থেকে আদায় করা হত। এই করে বেশ কিছু হাত ঘুরে এক প্রকার একটা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল।