ED Attacked in Sandeshkhali: তাণ্ডবলীলার প্রায় দেড়দিন পার। শনিবার বিকেল পর্যন্ত অধরা সন্দেশখালির দোর্দদণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। তবে তাঁকে ধরতে মরিয়া ইডি। কানাঘুষো খবর, সন্দেশখালি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত খুব কাছে হওয়ায় শাহজাহান প্রতিবেশী দেশে পালাতে পারে। তাঁই ঝুঁকি নিতে নারাজ কেন্দ্রীয় এজেন্সি। শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করল ইডি। যা দেশের সব বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বিএসএফ-এর কাছে পাঠানো হয়েছে শুক্রবার রাতেই।
ইডি সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহানের মোবাইল টাওয়ার ট্রেস করা যাচ্ছে না। অর্থাৎ শাহজাহান শেখ যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতেন তা বন্ধ রয়েছে। শাহজাহানের স্ত্রীর মোবাইল নম্বরও বন্ধ। সন্দেশখালি এলাকায় ভেড়ি দখল, জমি দখল করা ছাড়াও শেখ শাহজাহান বাংলাদেশে বেআইনি পাচার করত বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি মানুষ পাচারের অভিযোগও রয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের দুষ্ট চক্রের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ থাকতে পারে। শুধু তা নয়, সন্দেশখালি থেকে সুন্দরবন হয়ে জলপথে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের রাস্তাও তাঁর চেনা। তাই এক হতে পারে, সুন্দরবনের কোনও দ্বীপে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন শাহজাহান। কিংবা ইতিমধ্যে সীমান্ত পার করে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন- সন্দেশখালিতে ইডি গোয়েন্দাদের মারধর চরম ‘বোকামি’, ‘খারাপ এফেক্ট’-এর আশঙ্কায় সাংসদ শতাব্দী
শাহজাহান পালিয়ে গেলেও ফের তাঁর বাড়ি তল্লাশি চালানোরও প্রস্তুতি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। শাহজাহানের খোঁজ লাগাতে লুকআউট নোটিস জারির সঙ্গেই তাঁর পরিবারের লোকজনকেও জেরা করা হতে পারে। তবে তার আগে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আধা সামরিক বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন ইডি কর্তারা। হতে পারে এরপর থেকে আরও বড় বাহিনী নিয়ে তল্লাশি চালানো হবে।
আরও পড়ুন- সন্দেশখালির ঘটনায় কঠিন পদক্ষেপ ইডির, জখম অফিসারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ BJP বিধায়কদের
রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে শুক্রবার সকালে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন ইডি অফিসাররা। তারা শাহজাহানের বাড়ির গেট খোলার যখন চেষ্টা করেন, তখন পিছন থেকে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। তাতে তিন জন অফিসারের মাথা ফাটে। জখন বেশ কয়েকজন। ভাঙচুর, মারধর হয় সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি ও সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিকদেরও। 'প্ররোচনা' বলে এই ঘটনার দায় ইডির ঘাড়েই চাপিয়েছে শাসক দল তৃণমূল।