নিয়োগকাণ্ডে ধৃত প্রমোটার অয়ন শীলকে নিয়ে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে বিস্ফোরক দাবি করল ইডি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, 'অযোগ্য'দের চাকরি পাইয়ে দিতে অয়ন শীল ১ হাজার জনের থেকে ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিল। একজন এজেন্টকেই তিনি দিয়েছিলে ২৬ কোটি টাকা। বিপুল এই টাকার ভাগ সরকারি কর্মীদের কাছেই পৌঁছেছে বলে মনে করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এদিনও অয়নের জামিনের আবেদন নাকচ হয়েছে। ১১ এপ্রিল পর্যন্ত প্রোমোটার অয়নকে জেল হেফাজত মঞ্চর হয়েছে। আদালতের নির্দেশ, অয়নকে জেলে গিয়ে জেরা করতে পারবেন তদন্তকারীরা।
ইডির আইনজীবী ফিরোজ ইডুলজির দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত আয়ন শীলকে ১৩ দিন জেরা করে তাঁ বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। অয়নের ৮ ফ্ল্যাট, ৫ গাড়ি এবং ১ পেট্রল পাম্প রয়েছে। অয়ন শীলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে দেখা গিয়েছে যে, ধৃত তৃণমূল যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১ কোটি টাকা দিয়েছিলেন তিনি। অয়নের কীভাবে বিরাট এই সম্পত্তি হল অয়নের তারই তদন্ত চলছে।
ধৃত অয়ন পুরসভার নিয়োগ পরীক্ষায় ওএমআর শিট বিকৃতির সঙ্গে জড়িত বলেও দাবি ইডির। কীভাবে প্রতারণা হয়েছিল? ইডি জানিয়েছে, যে সব পরীক্ষার্থী সঠিক উত্তর দিয়ে বেশি নম্বর পেতেন তাদের ওএমআর শিট বিকৃত করা হত। সঠিক অপশনের পাশাপাশি ভুল উত্তরের ঘরেও পেনশিল দিয়ে ডার্ক করা হত। তার ফলে নম্বর কমে যেত। আবার অযোগ্য প্রার্থীদের উত্তরপত্রে ওএমআর শিটে সঠিক ঘরে টিক দেওয়া হত।
আরও পড়ুন- মমতার অভিযোগের পাল্টা, প্রশাসনিক প্রধানের বক্তব্যে উসকানি দেখছে ভিএইচপি
অয়নের সংস্থা এবিএস ইনফোজোন-কে কেন পুরসভার গ্রুপ-সি নিয়োগ পরীক্ষা সংক্রান্ত টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল? ওই সংস্থা আসলে কী করত? জবাবে অয়নের আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল ব্যবসায়ী। পুরসভায় কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত সবরকমের কাজ করত অয়নের সংস্থা। অয়ন চাকরি দেওয়ার কেউ নন। নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপার তাঁর হাতে ছিল না। তাঁরা কেবল প্রার্থী নির্বাচন করে তা পুরসভার কাছে পাঠিয়ে দিতেন। এরপর পুরসভা নিয়োগ করত, বলে দাবি করা হয়েছে। ইডি-র দাবি, অয়নকে জেরা করে আরও ১৫ জন প্রভাবশালীর নাম মিলেছে। যদিও এজসালে সেসব নাম জানানো হয়নি।