Abhishek Banerjee Coal Smuggling Case: ভোট মরশুমে বড় স্বস্তি তৃণমূলের 'সেনাপতি' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, কয়লা পাচার মামলায় আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব করতে পারবে না ইডি। এছাড়াও এদিনের নির্দেশে উল্লেখ, এই সময়কালে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না ইডি। অর্থাৎ, অভিষেকের রক্ষাকবচ বহাল থাকল।
ইডি-সিবিআই-কে দীর্ঘ দিন ধরেই কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপির হাতিয়ার বলে দাবি করেছে তৃণমূল। দুয়ারে লোকসভা ভোট। এই ভোটের সময়ই বিরোধী নেতাদের কেন্দ্রীয় এজেন্সি সমন পাঠিয়ে হেনস্থা করতে পারে বলে আশঙ্কা। যা আঁচ করে এই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী এ দিন শীর্ষ আদালতে জানান, মামলাকারী একজন সাংসদ। তিনি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ছেন। ১০ বছরের আয়করের হিসেবও জমা দিয়েছেন। শুরু থেকেই কয়লা পাচার মামলার তদন্তে তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করে চলেছেন অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন যেন অভিষেককে দিল্লিতে না তলব করে ইডি।
অভিষেক ও তাঁর স্ত্রীর তদন্তে সহযোগিতার বিষয়ে সিলমোহর দেন ইডির হয়ে সওয়াল করা অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু। তিনি জানান, ২০২২ সালের মার্চ মাসের পর ওই মামলায় আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেনি ইডি। ওই বছরেরই সেপ্টেম্বর মাসের পর কয়লা পাচার মামলায় রুজিরাকেও তলব করা হয়নি। ফলে তাঁদের তলবের বিষয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির কোনও তাড়াহুড়ো নেই।
আরও পড়ুন- IT Raid: মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপের বাড়িতে আয়কর হানা, সকাল থেকে চলছে তল্লাশি, কী কারণে?
উভয় তরফের যুক্তি শুনে বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী ও বিচারপতি পঙ্কজ মিথালে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১০ জুলাই।
কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতেও ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ইডির পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সেসময় সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রী। তাঁরা আবেদনে জানিয়েছিলেন, তাঁদের যেন কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যার প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট অভিষেকদের পক্ষেই রায় দিয়েছিল। দিল্লির বদলে তৃণমূল সাংসদ এবং তাঁর স্ত্রীকে কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। তবে নির্দেশে উল্লেখ ছিল যে, রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনকেই নিশ্ছিৎ করতে হবে যে, অভিষেক-রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে যেন কলকাতায় ইডি আধিকারিকদের কোনও হেনস্থার সম্মুখীন হতে না হয়।
এর পরে অভিষেক এবং রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দিল্লি থেকে কলকাতায় আসেন ইডি গোয়েন্দারা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, তৃণমূলের 'সেনাপতি'র বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অভিষেকের সেই রক্ষাকবচ বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। তাঁর চোখের চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাত্রাতেও কোনও বাধা দেয়নি আদালত।