অভিষেকের নাম নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে চাপ দিচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ। মিজের অভিযোগ সমন্ধে বিচারক ও পুলিশের উদ্দেশে চিঠিও লিখেছেন এই অপসারিত যুব তৃণমূল নেতা। বৃহস্পতিবার ছিল এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি। সেই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন যে, প্রয়োজনে এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জেরা করতে পারবে ইডি ও সিবিআই। তবে শুনানির পরে বিচারপতির নির্দেশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করার কথার উল্লেখ নেই। শুধু পর্যবেক্ষণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রয়োজনে ইডি, সিবিআইয়ের জেরার কথা রয়েছে।
মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, 'ইডি, সিবিআই দুর্নীতির কোমর অবধি পৌঁছেছে, হৃদয় এবং মাথা পর্যন্ত পৌঁছানো এখনও বাকি আছে। আপনারা সময় নষ্ট করছেন, দ্রুত করুন, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন কেন? আসল টাকাটা কোথায় গেল ? সেটাই তো খুঁজে বের করতে হবে। কী করছে সিবিআই-ইডি?'
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, কুন্তল ঘোষের অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ করতে পারবে না নিম্ন আদালত ও পুলিশ।
আরও পড়ুন- অস্বস্তি বিজেপির, নিশীথ কাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের দাবি খারিজ, মামলা ফের হাইকোর্টে
গত ২৯ মার্চ শহিদ মিনারে দলের ছাত্র-যুবদের সভায় তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সারদার সময় থেকে তাঁর নাম বলানোর জন্য চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছে ইডি-সিবিআই। ওই বক্তৃতায় অভিষেক কুণাল ঘোষ ও মদন মিত্রকে দেখিয়ে বলেছিলেন, 'ওঁদের বলেছিল অভিষেকের নাম বলো, তাহলে ছেড়ে দেব। এখনও সেই চেষ্টা হচ্ছে।'
ঠিক তার পরের দিনই কুন্তল ঘোষের মুখেও অভিষেকের সুর শোনা যায়। কুন্তলের অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁকে চাপ দিচ্ছে দলের শীর্ষ নেতাদের নাম বলার জন্য। পরে হেস্টিংস থানা ও নিম্ন আদালতের বিচারককে চিঠি দেন বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা। সেই চিঠি নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এইসব তদন্তের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার কৌশল। বুধবার এই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পুরোটাই 'চালাকি'।