Kalighater Kaku: বহু টানাপোড়েন শেষে শেষমেশ কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পেরেছে ইডি। গতকাল সন্ধে থেকে চূড়ান্ত নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেই নাটকের শেষ হয় আজ ভোররাতে। এসএসকেএম থেকে গতকাল রাতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে বের করে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল ইডি। সেখানেই টানা কয়েকঘণ্টা ধরে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা হয়। শেষমেশ ভোররাতে আবারও কালীঘাটের কাকুকে ফিরিয়ে আনা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।
দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে মরিয়া ছিল ইডি। তবে বারবার শাররীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে বাধা আসতে থাকে বলে দাবি ইডির। এসএসকেএম হাসপাতালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকারিকরা। শেষমেশ বহু নাটকীয়তার পর বুধবার রাতে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসএসকেএমে ঢোকেন ইডির অফিসাররা। রাত ৯.৫০ নাগাদ হাসপাতাল থেকে বের করা হয় কালীঘাটের কাকুকে।
অ্যাম্বুলেন্সে চাপিয়ে এরপর তাঁকে নিয়ে জোকা ইএসআই হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন ইডির আধিকারিকরা। কয়েক ঘণ্টা ধরে সেখানে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর ভোররাতে ফের কালাঘাটের কাকুকে ফিরিয়ে আনা হয় এসএসকেএমে। রাত ৩.২০ নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ফিরিয়ে আনা হয় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে।
আরও পড়ুন- প্রকাশ্যে দলে বিচার চাইলেন প্রবীণ তৃণমূল বিধায়ক, ফুঁসছেন দলীয় সাংসদের বিরুদ্ধেই
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে একটি ভয়েস রেকর্ড হাতে আসে ইডির। সেই কণ্ঠস্বরটি কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের হতে পারে বলে সন্দেহ ইডির। সেই কারণেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বর সংগ্রহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। আদালতের দ্বারস্থ হয়েও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করে উঠতে পারছিল না ইডি। শেষমেশ বহু টানাপোড়েন শেষে বুধবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পেরেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।