ED Directorate Meeting: রেশন দুর্নীতির তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। ইতিমধ্যেই জালে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ইডি আদালতে জানিয়েছে, রেশন দুর্নীতির অঙ্ক ১০ হাজার কোটি ছাড়াতে পারে। এরপরই এই দুর্নীতির তদন্তে অভিযানে গিয়ে সন্দেশখালিতে আক্রান্ত হয়ে হয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অফিসারদের। যা গোটা দেশে বেনজির। শুধু শাহজাহান শেখের সন্দেশখালিতেই শেষ নয়, ওই রাতে বনগাঁতেও একই পরিস্থিতি হয়েছিল। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতারের সময়ও স্থানীয়দের হামলার শিকার হতে হয় ইডি আধিকারিকদের। এরপরই সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে সোমবারই কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন ইডির ডিরেক্টর রাহুল নবীন। সল্টলেকে ইডির পূর্বাঞ্চলীয় দফতরে মঙ্গলবার এজেন্সির দুটি জোনের অফিসারদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতি ও রেশন কাণ্ডে বিভিন্ন তদন্ত কতদূর এগিয়েছে, আর কাকে কাকে জেরা করা জরুরি- এসবই নিয়েই আলোচনায় উঠে এসেছে। এদিনের বৈঠকে রয়েছেন, ইডির স্পেশাল ডাইরেক্টর সুভাষ আগারওয়াল, অ্যাডিশনাল ডাইরেক্টর বিনোদ শর্মা, রেশন দুর্নীতির তদন্তকারী আধিকারিকেরা, সিআরপিএফের আইজি বীরেন্দ্র কুমার শর্মা, আয়কর বিভাগের প্রিন্সিপাল ডাইরেক্টর পঙ্কজ কুমার।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে প্রেস রিলিজে ইতিমধ্যেই অভিযোগ করা হয়েছে যে, বনগাঁর বাড়ি থেকে প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতারের সাত ঘণ্টা আগে বনগাঁ পুলিশ জেলার সুপরিনটেন্ডেন্টের মোবাইলে ফোন করে সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা মেলেনি। ফলে উৎকণ্ঠায় ইডির অফিসারেরা। এই ধরণের অভিযান নিয়ে দেখেশুনে ময়দানে নামতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, মূলত স্থানীয় ইডি অফিসারদের মনোবল বাড়াতে কলকাতায় এসেছেন ডিরেক্টর রাহুল নবীন। এছাড়া, আগামী দিনে এইসব অভিযোগ যাতে আর না ওঠে তারর বিহিত বন্দোবস্ত করতেও ইডি-র ডিরেক্টরের এই শপর বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে অচিরেই ইডি কিংবা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে সরাসরি রাজ্য পুলিশ প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হতে পারে।