কুন্তল ঘোষ ঘনিষ্ঠ প্রমোটার অয়ন শীলকে দফায় দফায় জেরা করে মিলছে ভয়ঙ্কর তথ্য। ইডির গোয়েন্দাদের প্রথামিক ধারণা ছিল রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় প্রায় গ্রুপ ডি পদে প্রায় হাজার পাঁচেক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু, অয়নকে জেরায় দেখা যাচ্ছে বেআইনিভাবে নিয়োগের পরিমাণ আরও বেশি। প্রায় ছয় হাজার।
এদিকে গত শনিবার থেকে দীর্ঘ ৩৭ ঘন্টা অয়ন শীলের সল্টলেকের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ইডি। সেখান থেকে উদ্ধার হয় একাধিক নথি। পাশাপাশি, অয়নের ওই বাড়ির ডাস্টবিন থেকেও বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, ডাস্টবিনের মধ্যে পুরসভায় চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা ছিল। নথিতে চাকরি প্রার্থীদের নামের পাশে পুরসভা ও টাকার অঙ্কের উল্লখ রয়েছে। এরপর অয়নের কম্পিউটার ও নোট প্যাডের পাসওয়ার্ড ডি-কোড করে বিস্তারিত তথ্যের হদিশ মেলে।
ইডি জানতে পেরেছে যে, পুরসভার বিভিন্ন টেন্ডারেও একচেটিয়া ক্ষমতা ভোগ করত অয়ন শীলের সংস্থা এবিএ ইনফোজোন। অন্য কোনও সংস্থা টেন্ডারে অংশগ্রহণের সুয়োগই পেত না।
অয়ন শীলের দুর্নীতির বহর জানতে মরিয়া ইডি। সূত্রে খবর, তটি ব্যাঙ্কের কাছে অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের অ্যাকাউন্ট সমন্ধে জানতে চেয়েছে ইডি। এছাড়া মেইল করা হয়েছে এবিএস ইনফোজোনের কাছেও। কোন কোন পুরসভার সঙ্গে অয়নের সংস্থার চুক্তি ছিল তা জানতে চাওয়া হয়েছে।