গরু পাচার চক্রের শিকড় উপড়ে ফেলতে জোরদার তৎপরতা এনফোর্সমেন্টে ডিরেক্টরেট-সিবিআইয়ের। একযোগে কলকাতা ও দিল্লির দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার। গতকালের পর আজও গরু পাচার মামলায় দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যাকে। সুকন্যার পাশাপাশি দিল্লিতে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে অনুব্রত মণ্ডলের চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যও। অন্যদিকে, কলকাতার নিজাম প্যালেসে ডেকে আজ সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখে বীরভূম জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আবদুল কেরিম খান।
গরু পাচার মামলবার তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই চাঞ্চল্যকর একাধিক তথ্য হাতে আসছে তদন্তকারীদের। বুধবার দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে ডেকে পাঠিয়ে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাকে। সরকারি স্কুলের শিক্ষিকিা হয়ে কীভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হলেন সুকন্যা? জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে তাঁকে বারবার এই প্রশ্নের সামনে পড়তে হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সুকন্যার নামে থাকা সংস্থা সম্পর্কেও বিশজে জানতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন- পারদ-পতনে সকাল-রাতে ঠান্ডার অনুভূতি, শীতের ইনিংস শুরু কবে থেকে?
গতকালের পর আজ ফের ইডির তলব পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি কেষ্ট-কন্যা। গরু পাচার মামলায় ধৃত সায়গল হোসেনও এই মুহূর্তে দিল্লিতেই রয়েছেন। বুধবার সায়গলের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সুকন্যা মণ্ডলকে। এরপর আজ ফের একবার সুকন্যাকে ডেকে পাঠিয়ে প্রশ্ন ইডির। তবে আজ কেষ্ট-কন্যার পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারিকে দিল্লির দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। এছাড়াও অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকেও ইডির দুঁদে অফিসারদের প্রশ্নবাণের মুখে পড়তে হচ্ছে।
দিল্লির পাশাপাশি আজ কলাকাতায় গরু পাচার মামলা নিয়ে সক্রিয় সিবিআই। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাদের মধ্যে একজন নানুরের আবদুল কেরিম খান। বীরভূম জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আবদুল কেরিম খানকেও আজ ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। এর আগে কেরিমের নানুরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু নথি। তা নিয়ে আগেই একবার সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ওই তৃণমূল নেতা।