নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পাচ্ছে ইডি-সিবিআই।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ আরও এক ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ ইডির। গুণধর খাঁড়া নামে ওই ব্যক্তি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২৬ জনের চাকরির জন্য ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি ইডি সূত্রের। গতকাল গুণধর ছাড়াও তন্ময় ঢালি নামে এক চাকরিপ্রার্থীও এসেছিলেন ইডির দফতরে। নিয়োগের জন্য তিনিও গুণধরকে লক্ষাধিক টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি।
নিয়োগ দুর্নীতির মাথার খোঁজে মরিয়া ইডি-সিবিআই। তবে নিত্যদিন তদন্তে নতুন নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় ইডির দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ গুণধর খাঁড়াকে। একইসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ চলে তন্ময় ঢালি নামে এক চাকরিপ্রার্থীকেও। ইডি সূত্রের খবর, তন্ময় নিজের চাকরির জন্য গুণধরকে ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। গুণধর খাঁড়ার সঙ্গে বৃহস্পতিবার তন্ময়ও সিজিও কমপ্লেক্সে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন- অভিষেকের মঞ্চ থেকেই ফিরহাদে বিরাট আস্থা মমতার, বললেন- ‘আমার মৃত্যুর পরে…’
তাঁকেও ওই দিন দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির আধিকারিকরা। সন্ধেয় ইডি দফতর ছাড়েন গুণধর এবং তন্ময়। তবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তন্ময় চাকরির বিনিময়ে টাকা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এমনকী ইডির জিজ্ঞাসাবাদ নিয়েও মুখ খোলেননি তিনি। ইড সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়োগের জন্য মোট ২৬ জন প্রার্থীর জন্য গুণধর ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা শান্তনুকে দিয়েছিলেন। এমনকী গুণধর খাঁড়ার দুই মেয়ের চাকরিও শান্তনুর হাত ধরেই হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে ইডি।
যদিও পরে হাইকোর্টের নির্দেশে দুই মেয়ের চাকরিই বাতিল হয়ে গিয়েছে। ইডির দাবি, প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকে চাকরির জন্য গুণধর শান্তনুকে টাকা দিয়েছিলেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে। দু’টি ক্ষেত্রে চাকরির দর ছিল ভিন্ন। স্কুলে চাকরির জন্য কখনও ১০ লক্ষ টাকা কখনও বা তারও বেশি টাকা চাওয়া হয়েছিল বলে দাবি। গুণধর প্রাইমারিতে চাকরির জন্য ৭ জন এবং আপার প্রাইমারিতে ১৯ জন প্রার্থীর জন্য শান্তনুকে টাকা দিয়েছিলেন বলে ইডি সূত্রে খবর। একটি সূত্রের দাবি, গুণধর তাঁর আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠ কয়েক জনের চাকরির জন্যও শান্তনুকে টাকা দিয়েছিলেন।