Sheikh Shahjahan-ED: শেখ শাহজাহানকে বাগে পেয়ে দফায় দফায় জেরা ED-র গোয়েন্দাদের। সূত্রের খবর, শাহজাহানকে জেরায় ইতিমধ্যেই বেশ কিছু 'মারাত্মক' তথ্য হাতে এসেছে ইডির। তারই ভিত্তিতে আগে যাদের তলব করা হয়েছিল, তাদেরই কাউকে-কাউকে বৃহস্পতিবার ফের ডেকে পাঠানো হয়। তলব পেয়েই সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছিলেন তাঁরা। শাহজাহানের দেওয়া বয়ানের সঙ্গে এদের বয়ান মিলিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
আবারও ED-র তলব মহিদুল মোল্লাকে (Mahidul Molla)। মহিদুল-সহ আরও কয়েকজন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ঘনিষ্ঠদের ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। বৃহস্পতিবার সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ গোয়েন্দাদের।
মহিদুল মোল্লা শেখ শাহজাহানের মাছ কেনা-বেচার সংস্থা 'শেখ সাবিনা ফিশারিজে'র (Sheikh Sabina Fisharies) ম্যানেজার। মহিদুলের বয়ান ইতিমধ্যেই রেকর্ড করেছে ইডি। ইডিকে দেওয়া বয়ানে মহিদুলের দাবি, ২০১৯ সালে শাহজাহান সন্দেশখালির (Sandeshkhali) স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীদের বলে দেন তাঁকে ছাড়া অন্য কোথাও চিংড়ি মাছ বিক্রি করা যাবে না। বিক্রি করলে ব্যবসা বন্ধ করারও হুমকি দেয় শাহজাহান।
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: ‘অমাবস্যার কালো ছায়ায় ঢেকে গেছে মুখ’, নিশীথকে তুলোধনা করে মমতা আর যা যা বললেন…
সেই মহিদুলকেই এদিন ফের জিজ্ঞাসাবাদ ইডির। শাহজাহানকে হেফাজতে পাওয়ার পর মহিদুলকে ফের একবার তলব গোয়েন্দাদের। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহজাহানের সঙ্গে মহিদুলের বয়ান মিলিয়ে দেখা হবে।আদতে এই মাছ ব্যবসার টাকা কোথায় যেত, বিদেশে পাঠানো হতো কিনা সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ মহিদুলকে।
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: ‘বলেছিলাম ডবল ইঞ্জিন দাও, সিঙ্গল ইঞ্জিন দিও না’, এবার কেন একথা মমতার মুখেই?
শাহাজাহানের হাত ঘুরে বিপুল পরিমাণ টাকা শেষমেশ কোথায় কার নির্দেশে পাঠানো হতো, সেদিকটিই খতিয়ে দেখছে ইডি। গেটা চক্রের পিছনে আরও বড় 'রাঘববোয়াল' থাকতে পারে বলে আশঙ্কা কেন্দ্রীয় সংস্থার। শাহজাহান-সহ তার ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তিদের দফায় দফায় জেরা-জিজ্ঞাসাবাদ করে পর্দার আড়ালে থাকা 'রাঘববোয়াল'দের নাগাল পাওয়ার মরিয়া চেষ্টায় ইডি।