পুরসভা কার দখলে থাকবে তাই নিয়ে বারে বারেই সংবাদ শিরোনামে ঝালদা পুরসভা। কখনও কংগ্রেস, কখনও নির্দল, আবার কখনও তৃণমূলের দখলে ঝালদা। এসবের মাঝেই এই পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে অতি তৎপর ইডি। এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ঝালদা পুরসভাকে নোটিস পাঠাল ইডি। ইতিমধ্যেই সেই নোটিস পেয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। ঝালদা পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারকে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে। নথি সহ জবাবদিহির জন্য সাতদিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- মমতা স্পেনে যাওয়ার আগেই একাধিক জেলাশাসক বদল! জানুন কোন জেলার দায়িত্বে কে?
এর আগেও নিয়োগ দুর্নীতির তদনেতে ঝালদা পুরসভাকে নোটিস পাঠিয়েছিল ইডি। এই প্রসঙ্গে করণিক গৌতম গোস্বামী বলেছেন, 'সোমবারই আমরা ডাকযোগে ও ইমেলে ইডির নোটিস পেয়েছি। ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে যত নিয়োগ হয়েছে, তাদের বায়োডাটা সহ সব নথি দিতে বলা হয়েছে। ওই সময় থেকে কারা পুরপ্রধান ছিলেন? কার্যনির্বাহী অধিকারিক কারা? পুরকর্মচারিরা কোন পদে কে ছিলেন? তাঁদের নাম ও ফোন নম্বরও চাওয়া হয়েছে। উত্তর দেওয়ার জন্য প্রস্তুত নেওয়া হচ্ছে।' জানা গিয়েছে, এর আগের নোটিসেও একই তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। তারপরও ইডি-র নোটিস পাঠানো ঘিরে চর্চা চলছে।
আরও পড়ুন- মমতার বাংলায় ‘তালাবন্দি’ মোদীর মন্ত্রী, কারা করল? জানলে অবাক হবেন!
২০২২ সালে রাজ্যব্যাপী শতাধিক পুরসভায় ভোট হয়েছিল। তার মধ্যে অন্যতম পুরুলিয়ার ঝালদা। ওই ভোটে তৃণমূল ঝালদায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়নি। বোর্ড গঠনের মধ্যেই খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। পরে কংগ্রেস-নির্দল কাউন্সিলরদের দলবদল টানাপোড়েন, হাইকোর্টের নির্দেশে গত কয়েক বছরে ঝালদা পুরসভায় কোনও স্থায়ী পুরবোর্ড হয়নি। গত সপ্তাহেই বেশ কয়েকজন কংগ্রেস ও নির্দল কাউন্সিলর দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে ওই পুরসভায় বর্তমানে সংখ্যাগরিষ্ঠ ঘাস-ফুল শিবির।
আরও পড়ুন- মানিকের আরও কীর্তি ফাঁস! পার্থর উদাহরণ তুলে আদালতে ইডি’র বিস্ফোরক দাবি