বারবার চেষ্টাতেও কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়েছে ইডি। এই পরিস্থিতিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক দিল্লিতে। সংস্থার সদর কার্যালয়ের ওই বৈঠকে কলকাতার ইডির অফিসাররাও যোগ দিয়েছিলেন। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ ইডি। এবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আরও কঠিন পদক্ষেপের ভাবনা কেন্দ্রীয় সংস্থাটির।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে এটি কল রেকর্ড হাতে পেয়েছে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, কল রেকর্ডে থাকা কণ্ঠস্বরটি কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। তবে বিষয়টি প্রমাণ করতে হবে। সেই কারণেই কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ জরুরি। তবে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে বারবার বাধা আসছে বলে অভিযোগ ইডির। শারীরিক অসুস্থতার কারণ জানিয়ে গত চার মাস ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।
গত কয়েকমাসে একাধিকবার হাসপাতালে গিয়েও তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা মেলেনি। ইডির অভিযোগ, এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ নানা অজুহাতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে তাঁদের বাধা দিচ্ছে। এমনকী চিকিৎসকদের সামনে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর সংগ্রহ করা হবে বলে জানালেও আপত্তি জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- চালিয়ে ব্যাটিং শুরু শীতের! কয়েকদিনেই কোন কোন জেলার পারদ নেমে যাবে ১২ ডিগ্রিতে?
শেষমেষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। কোর্টের নির্দেশেই জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কালীঘাটের কাকুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর কথা ছিল। গত বৃহস্পতিবার এসএসকেএম কর্তৃপক্ষকে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নিয়ে ইএসআই হাসপাতালে যাওয়ার কথা জানায় ইডি। শুক্রবার সকালে হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে হাজির হয় ইডি। তখনই ইডি অফিসাররা জানতে পারেন বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় কালীঘাটের কাকুকে আইসিসিইউ-তে স্থানান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার দিনভর টানাপোড়েন শেষেও কালীঘাটের কাকুর নাগাল পায়নি ইডি।
সেই কারণেই দিল্লিতে এবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছিল ইডি। সংস্থার শীর্ষকর্তা ছিলেন সেই বৈঠকে। কলকাতা থেকে গিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারী অফিসাররাও যোগ দিয়েছিলেন ওই বৈঠকে। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে সেই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে ঠিক হয়েছে কালীঘাটের কাকুর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার যাবতীয় রিপোর্ট হাইকোর্টে পেশ করা হবে। আদালতের নির্দেশ মতোই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।