বিধানসভার পিএসি চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কল্যাণীকে এবার নোটিস পাঠাল ইডি। গত ২৫ জুলাই বিধায়কের ব্যবসায়িক সংস্থা ‘কল্যাণী সলভেক্স প্রাইভেট লিমিটেডের’ রায়গঞ্জের ঠিকানায় নোটিস পাঠানো হয়েছে। কৃষ্ণর সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত দু’টি টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত বেনিয়মের অভিযোগেই কৃষ্ণ কল্যাণীকে নোটিস পাঠিযেছে ইডি।
একুশের ভোটে রায়গঞ্জ থেকে পদ্ম প্রতীকে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। কিন্তু, বালুরঘাটের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না বলে অভিযোগ করেছিলেন বিধায়ক। উন্নয়নের কাজে সাংসদ বাধা দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ করেন কৃষ্ণ। পরে তিনি বিজেপি ত্যাগ করে পুরনো দল তৃণমূলে নাম লেখান। কিন্তু বিধায়ক পদ ছাড়েননি।
দলত্যাগ বিরোধী আইনে কৃষ্ণের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরমধ্যেই এ বছর ৩০ জুন পিএসি চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়ের জায়গায় কৃষ্ণ কল্যাণীকে মনোনিত করন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। অধ্যক্ষের দাবি, বিধানসভায় কৃষ্ণ কল্যাণী এখনও বিজেপি বিধায়ক।
উল্লেখ্য, গত বাজেট অধিবেশন চলাকালীন বিতর্কে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে সমালোচনা করছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময়। সেই সময় তৃণমূলে যোগ দেওয়া কিন্তু খাতায়-কলমে বিজেপিতে থাকা চার বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, তন্ময় ঘোষ, সৌমেন রায় এবং বিশ্বজিৎ দাস শুভেন্দুর বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন। ফলে অগ্নিমিত্রা পালের সঙ্গে বচসায় জড়ান ওই চার বিধায়ক। এর কিছুক্ষণ পর মুখ্যমন্ত্রী বলতে উঠলে বিজেপি বিধায়করা ওয়াক-আউট করেন। সেই সময় দেখা গিয়েছিল, শুভেন্দু অধিকারী কৃষ্ণ কল্যাণীর দিকে এগিয়ে গিয়ে কিছু একটা বলছেন।
এরপরই রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী অভিযোগ করে বলেছিলেন যে, শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বাড়িতে আয়কর হানার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বিষয়টি অধ্যক্ষের নজরে আনেন কল্যাণী। এর পরিপ্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, 'খুবই গুরুতর অভিযোগ এটা। বিধানসভায় যে কোনও সদস্য তাঁর কথা বলতেই পারেন। কিন্তু তার জন্য তাঁকে আয়কর দফতরের হুমকি দেওয়া হবে? এর থেকে বোঝা যাচ্ছে ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতর কারা চালায়।'