ইডি হোক কিংবা সিবিআই, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত বীরভূমের তৃণমূল নেতা বিভাস চন্দ্র অধিকারী। শনিবার তাঁর কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের ফ্ল্যাট সিল করে দেয় ইডি। এই খবর পাওয়ার পরেই তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হওয়ার কথা সংবাদ মাধ্যমকে জানান তিনি। বর্তমানে বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি বিভাস চন্দ্র অধিকারী।
বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের কৃষ্ণপুর গ্রামে বাড়ি বিভাস অধিকারীর। ওই গ্রামেই কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন অনুকুল ঠাকুরের আশ্রম। অনুকুল ঠাকুরের বাংলাদেশের হিমাইতপুরের মন্দিরের আদলে এই আশ্রম গড়েছেন তিনি। ওই আশ্রমে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মানস ভুঁইয়া, মুকুল রায়, বিজেপির কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, রুদ্রনীল ঘোষ-সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতারা এসেছেন। বিভাসবাবুর সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যেরও ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে শোনা যায়।
বিরোধীদের অভিযোগ, বিভাস চন্দ্র অধিকারী টাকা নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষক পদে অনেককে চাকরির পাইয়ে দিয়েছেন। কৃষ্ণপুর গ্রামে তাঁর একটি টিচার ট্রেনিং ইন্সটিটিউট আছে। শনিবার বিকেলে দলের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ আলো করে বসেছিলেন তিনি। কলকাতার ফ্ল্যাট সিল করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বিষয়টি শুনেছি। দীর্ঘদিন ওই ফ্ল্যাটে যাইনি। ফলে ঘরে তালা ঝোলানো ছিল। ইডি সন্দেহের বশে ফ্ল্যাট সিল করেছে। আমি ইডির মুখোমুখি হতে প্রস্তুত"।
আরও পড়ুন- নিয়োগ দুর্নীতি মামলা: মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে তলব ইডি-র
কলকাতায় তাঁর ফ্ল্যাটে নাকি প্রায়ই বড়-বড় ট্রাঙ্ক ঢুকত, অনেকে আসতেনও, ইডি ও সংবাদ মাধ্যমকে এমনই জানিয়েছেন তাঁর প্রতিবেশীরা। এপ্রসঙ্গে বিভাস অধিকারী বলেন, "আশ্রমের লোকজন বিভিন্ন কাজে কলকাতায় গেলে সেখানে উঠতেন। তাছাড়া গ্রামের কেউ চিকিৎসার জন্য কলকাতায় গেলে আমার ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। ফলে লোকজনের যাতায়াত বেশি ছিল। তবে ট্রাঙ্ক ঢোকার অভিযোগ ঠিক নয়"। এই অভিযোগ সম্পর্কে যে কোনও তদন্তে তিনি রাজি আছেন বলেও জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা।