পণ্ডিতিয়া রোডের অভিজাত আবাসনে সাড়ে চার ঘন্টা তল্লাশির পর কোনও নগদ উদ্ধার হয়নি। তবে মিলেছে বেশকিছু নথি। যা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি-র গোয়েন্দারা। এই ফ্ল্যাটটির সঙ্গে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের যোগ রয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
মঙ্গলবার সকালে পণ্ডিতিয়া রোডের একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। ওই ফ্ল্যাটের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের যোগ রয়েছে বলে দাবি ইডির। সেদিন সাত ঘন্টার চেষ্টার পরও মঙ্গলবার ওই ফল্যাটের তালা খুলতে পারেননি গোয়েন্দারা। ফলে সেদিন ফ্ল্যাটটি সিল করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সেই ফ্ল্যাটেই ফের হানা দেয় গোয়েন্দা দল। চাবি-ওয়ালা ডেকে ভাঙা হয় ফ্ল্যাটের লক।
ইডি সূত্রে খবর, পণ্ডিতিয়া রোডের আবাসনের ওই ফ্ল্যাটও শুরুতে ছিল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে। পরে তা একাধিকার হাত বদল হয়। বর্তমানে ফ্ল্যাটটির মালিক স্মিতা ঝুনঝুনওয়ালা। যদিও ফ্ল্যাটিতে এখনও অর্পিতার যাওয়া-আসা ছিল বলে জানতে পারা গিয়েছে। স্মিতার সঙ্গে ইডি গোয়েন্দারা যোগাযোগ করতে পারেননি। রবীন্দ্র সরোবর থানাকে পুরোটা জানানো হয়েছে। আবাসনের এক কর্মীর কথায়, 'আমরা ১০ বছর এখানে কাজ করছি। তবে অর্পিতা বা পার্থবাবুকে দেখিনি। সবসময় ফ্ল্যাটটি বন্ধই থাকে।'
এর আগে গত ২২ জুলাই ও গত সপ্তাহে অর্পিতার টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৫০ কোটি নগদ উদ্ধার করেছে ইডি। মিলেছে প্রচুর সোনার গয়েনা, রূপো ও স্থাবর সম্পত্তির দলিল।
এ দিন তল্লাশির সময় পণ্ডিতিয়ার আবাসনটিকে ঘিরে রয়েছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। ওই বহুতলে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।