কলকাতা শহরের মোট ৯ থেকে ১০টি এলাকায় হানা দিয়ে ১.৬৫ কোটির ভারতীয় ও ৬৫ লক্ষ টাকার বৈদেশিক মুদ্রা বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্স ডিরেক্টরেট। বৃহস্পতিবার বিকালের থেকে শুরু করে রাতভোর হানা দিয়েছে ইডি। জানা যাচ্ছে, হাওয়ালাকাণ্ডে যুক্ত প্রায় ২৫ জন ব্যবসায়ী এ ক্ষেত্রে ইডির আতসকাচের নীচে রয়েছেন। বিদেশি মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রের আড়ালে হাওয়ালা ব্যবসা চালানোর অভিযোগও সামনে উঠে এসেছে।
পোস্তা-সহ কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় হানা দিয়ে রেজিস্টার-সহ বেশ কিছু নথি হাতে পেয়েছে ইডি। সেইসব নথি থেকে বিভিন্ন তথ্য উঠে আসছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাটির অনুমান, শহরের বেশ কিছু ব্যবসায়ী প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাঠায় এবং সেই টাকা বিদেশ থেকে বিভিন্ন সময় এ দেশেও চলে আসে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার প্রাথমিকভাবে কলকাতা শহরের পাঁচটি জায়গা- মার্কিউস স্ট্রিট, সাডার স্ট্রিট, কলাকার লেন এবং পার্ক লেনে তল্লাশি চালান ইডি-র আধিকারিকরা। শহরে আরবিআই-এর অনুমোদন ছাড়া বেআইনিভাবে বিদেশি মুদ্রা বিনিময় করে, এ রকম মোট ন’টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে রিপোর্ট পেশ করেছেন আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, এই সমস্ত অনুমোদনহীন সংস্থায় সাধারণত মুদ্রা বিনিময়ের ক্ষেত্রে খুব কম অঙ্কের ফি নেওয়া হয়। তুলনায় লাইসেন্স রয়েছে, এমন সংস্থায় বিদেশি মুদ্রা বিনিময় করতে গেলে বেশি টাকা জমা দিতে হয়। লাইসেন্সহীন সংস্থার মালিকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, বেআইনি বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ের ব্যবসা করে, এমন একটা জাল রয়েছে কলকাতায়। তাছাড়া, হাওয়ালা ব্যবসার কিছু নথিও উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা।