Advertisment

বুধ সকালে আলিপুরে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডি-র হানা! কার চাপ বাড়ল?

কোন ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযানে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ed raid in businessman house at alipore , আলিপুরে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডি-র তল্লাশি

ব্যবসায়ীর আবাসনে ইডির গোয়েন্দা দল।

মঙ্গলবার ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসে’-র অফিসে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির এই তৎপরতা নিয়ে মঙ্গলবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বুধবার সকাল থেকেই ফের শুরু হয়েছে ইডি-র তল্লাশি অভিযান। আলিপুরে বেলভেডিয়ার রোডে অবস্থিত এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযানে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

Advertisment

কোন ব্যবসায়ীয় বাড়ি সেটি? তাঁর সঙ্গে দুর্নীতির কী সম্পর্ক? সূত্রের খবর, আলিপুরের ওই বাড়িটি জ্ঞানেশ চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ীর। আর্থিক দুর্নীতি মামলার জ্ঞানেশকে তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে খবর।

ইডি-র তদন্তকারীরা গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন। আর্থিক দুর্নীতির জন্যই বিভিন্ন জায়গায় চলছে এই অভিযান। আজ সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ আলিপুরে ১৫ নম্বর বেলভেডিয়ার রোডে জ্ঞানেশ চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযানে যান আধিকারিকরা। আবাসনের ৬ তলায় প্রবেশ করেন গোয়েন্দারা।

মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার ইডি-র এই তৎপরতা নিয়ে বড় অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর মতে বেআইনিভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তদন্তের নামে অত্যাচার চালানো হচ্ছে। নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন, অভিষেক দেশে ফিরতেই বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে ইডি-র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'আমাদের বাড়িতে রোজ অত্যাচার করছে। কাল সারারাত না জানিয়ে হঠাৎ চলে গিয়েছে চার-পাঁচটা জায়গায়। আমাকেও কেউ বলেনি। আমি সকাল ৬টায় জানতে পারলাম আইনজীবী মারফত। ছেলেটা সবে বিদেশ থেকে এসেছে। আর শুনছি বাবুরা বেরিয়ে পড়েছে। আমার বাড়িতে কেউ গেল, বা আপনার বাড়িতে পুলিশ পাঠালাম। নিয়মটা কী? বাড়ির কাউকে জানাবে। বাড়ির কাউকে ডেকে কথা বলবে। রেড করতে হলে বাড়ির লোকেজনও থাকবে। তুমি একটা জায়গায় যাচ্ছ রেড করতে। তালা ভেঙে ঢুকছ, জানাচ্ছ না। বাড়িতে যদি কেউ না থাকে? যদি কেউ চা করার লোকও থাকে তাঁকেও ঘর থেকে বের করে দিচ্ছ। সে জানে না। তুমি যদি কারও বাড়িতে যাচ্ছ না জানিয়ে, তাঁর তো নিরাপত্তার কারণও আছে। তুমি যে লুকিয়ে বিস্ফোরক বা বন্দুক রেখে যাচ্ছ না, কে গ্যারান্টি নেবে। তুমি কয়েক কোটি টাকা নিজে বাক্স করে নিয়ে ঢুকছ না সেটা জানাবার কোনও জায়গা নেই। এটা বেআইনি।'

ইডি-র অবশ্য অভিযোগ, সাংসদ হওয়ার আগে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কর্ণধার ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার বোর্ড অফ ডিরেক্টরসে আছেন।

kolkata Enforcement Directorate
Advertisment