ED Raid in Bengal: রাজ্যে ফের দুর্নীতির তদন্তে সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। মঙ্গলবার সকাল থেকে একযোগে রাজ্যের চার জেলায় হানা দিলেন ইডি আধিকারিকরা। ঝাড়গ্রামের এক সরকারি আমলার কোয়ার্টারে, হুগলির চুঁচুড়ার এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে, মুর্শিদাবাদের একটি জায়গায় এবং সল্টলেকের একটি আবাসনে হানা দেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। চার জায়গাতেই সকাল থেকে তল্লাশি চলছে।
ইডি সূত্রে খবর, ১০০ দিনের কাজে (Fake Job Card) দুর্নীতির তদন্তে এই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়েছিল হুগলির ধনেখালি এবং মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানায়। তার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়েছে। এই প্রথম ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তে নামল ইডি।
ঝাড়গ্রামের একটি সরকারি কোয়ার্টারে হানা দেন আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, সেখানে ওই জেলার সংখ্যালঘু দফতরের এক সরকারি আমলাকে জেরা করছেন ইডি আধিকারিকরা। সকাল ৭টা নাগাদ ইডি ৬ জন আধিকারিকের একটি দল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে সেখানে হানা দেন।
আরও পড়ুন Mamat Banerjee: মমতার সিদ্ধান্ত বদল, দিল্লি যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী
জানা গিয়েছে, ওই আবাসন ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) জওয়ানরা। ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ খবর পেয়ে এলাকায় যায়। কিন্তু পুলিশ আধিকারিকদের আবাসনের ভিতর ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ইডি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে তারা।
এদিকে, মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে বহিষ্কৃত এক পঞ্চায়েতকর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। রথীন দে নামে এই পঞ্চায়েতকর্মীকে আগেই বহিষ্কার করা হয়েছিল। হুগলির চুঁচুড়ায় ময়নাডাঙা নামে একটি জায়গায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তাঁর নাম সন্দীপ সাধুখাঁ। তাঁর একটি লজেন্স কারখানা রয়েছে। ধনেখালির প্রাক্তন বিডিও এস কে পানের সল্টলেকের আবাসনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।