পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জেরা চলছে। ইডি সূত্রে খবর, সেই জেরা থেকে মেলা তথ্যের ভিত্তিতেই মঙ্গলবার শহরের নানাপ্রান্তে তল্লাশি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোন্দারা। ছয়টি জায়গায় অভিযানে ইডি-র গোয়েন্দা দল। এ দিন সকালে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে ইডি গোয়েন্দাদের একটি দল যায় গড়িয়াহাট এলাকার পণ্ডিতিয়া রোডে। দ্বিতীয় দলটি মাদুরদহ এবং তৃতীয় দল বরানগরে অর্পিতার বন্ধ নেল আর্টের দোকানে যায়। চতুর্থ দলটি গিয়েছে পাটুলিতে, সেখানেও রয়েছে অর্পিতার আরেকটি নেল আর্টের শোরুম। মেলে তাঁর অন্য ফ্ল্যাটের সন্ধানও। বেশ কয়েক ঘন্টার তল্লাশির পর, অর্পিতার পাটুলির দোকানটি সিল করে দেন গোয়েন্দারা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কলকাতা পুরসভার ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে। কাউল্সিলর ওই দোকান কিনতে সহায়তার করেছিলেন বলে খবর পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
মঙ্গলবার দুপুরে পাটুলির পালকি রেস্টুরেন্টের উল্টো দিকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নেল আর্ট পার্লারে হানা দেয় ইডি-র গোয়েন্দারা। এছাড়া কেদুয়া মেন রোডের ধারে একটি ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালানো হয়। জানা যায়, এই ফ্ল্যাটেও আসতেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা। মদুরদহের ওম ভিলা আবাসনেও একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চায়াচ্ছে ইডি।
সকাল থেকেই দক্ষিণ কলকাতায় পণ্ডিতিয়া রোডের ফোর্ট ওয়েসিস আবাসনের ৬ নম্বর ব্লকের ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটেও অভিযান চালাচ্ছে ইডি। এই ফ্ল্যাটের মালিকানা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নয়। খাতায় কলমে এই ফ্ল্যাটের মালিক ওম ঝুনঝুনওয়ালা। ইডির তদন্তকারীদের কাছে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই ফ্ল্যাটটি অর্পিতাকে ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন। অর্পিতা গত কয়েকমাস এই ফ্ল্যাটে আসেননি বলে জানিয়েছেন কেয়ারটেকার। আবাসনের ম্যানেজারকে ডেকে পাঠিয়েছে গোয়েন্দারা। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
লেকভিউ রোডেও মেলে অর্পিতার আরেকটি নেল আর্টের শোরুম।
পাশাপাশি অর্পিতার বরানগরের নেল আর্ট পার্লারেও শাটার ভেঙে তল্লাশিতে ইডি। অর্পিতার গ্রেফতারির পর এটি দিন কয়েক খোলা থাকলেও পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ দোকান থেকে মিলবে মামলা সম্পর্কিত কোনও তথ্য? সেদিকেই নজর।