সরকারি অর্থ লগ্নিকারী সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টরের বাড়িতে হানা দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় সংস্থার ৫ জন আধিকারিক বীরভূমের বোলপুর রবীন্দ্রবীথি বাইপাস সংলগ্ন এলাকার একটি বাড়িতে চারঘন্টারও বেশি সময় ধরে তল্লাশি চালান।
প্রায় কোটি টাকার মূল্যের প্রাসাদোপম বাড়িটি লাভপুরের কাজীপাড়ার আনারুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির। তিনি ওই বাড়িতেই থাকতেন। ২০১৩ সালে এলএফএস বুকিং প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি চিটফান্ড খুলে মোটা টাকা সুদের প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করে মাস ছয়েক আগে গা ঢাকা দেন বলে অভিযোগ। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে সংস্থাটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
আমানতকারীরা বিভিন্ন জায়গায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই অর্থ লগ্নীকারী সংস্থার আর এক ডিরেক্টর জিয়াউর রহমান উড়িষ্যায় দীর্ঘদিন ধরে গ্রেপ্তার হয়ে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বর্তমানে হাইকোর্ট এবং স্যাটে দুটি কেস চলছে। সেইসূত্রেই ইডির আধিকারিকরা তল্লাশিতে আসেন। কিছু নথিপত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়।
যদিও ইডির আধিকারিকরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁদের উপস্থিতির খবর পেয়ে বেশকিছু আমানতকারী বাড়ির সামনে জড়ো হন। ইডির আধিকারিকরা বেরিয়ে যেতেই আনারুলের শ্যালক সাইফুল ইসলামকে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান আমানতকারীদের একাংশ। তাঁকে ধাক্কাধাক্কিও করা হয় বলে অভিযোগ। আমানতকারীরা জানিয়েছেন, আনারুল তাঁদের টাকা মেরে গা ঢাকা দিয়েছেন। আর তাঁর বাড়ির পাওয়ার অফ অ্যার্টনি নিয়ে রেখেছেন সাইফুল এবং তাঁর বাবা।
সাইফুল বলেন, 'আমি ওই কারবারের সঙ্গে জড়িত নই। ইডি আমাকে কিছু জিজ্ঞাসাবাদও করেনি। বাড়িটির চাবি আমার কাছে ছিল। ইডি'র আধিকারিকদের দিতে এসেছিলাম।'