স্ক্যানারে আগেই ছিলেন তবে এবার ফের একবার তাঁর তালা লাগানো ফ্ল্যাটে হানা ইডির। কুন্তল ঘোষ তাঁর নাম নিতেই বিভাস অধিকারীর কলকাতার ফ্ল্যাটে ফের হানা কেন্দ্রীয় সংস্থার। টানা কয়েক মাস ধরে কলকাতার কার্তিক বোস স্ট্রিটের ওই ফ্ল্যাটটি সিল করা রয়েছে। ইডি-ই ওই ফ্ল্যাটটি সিল করে দিয়েছিল। ইডি সূত্রের দাবি, বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের অফিস ছিল ওই ফ্ল্যাটটিতে। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এই বিভাস অধিকারীর। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষই বিভাসকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন বলে দাবি করেন। তারপরেই তাঁর ফ্ল্যাটে হানা ইডির।
একটা সময়ে বীরভূমের নলহাটি দুই নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন বিভাস অধিকারী। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠদের মধ্যে একজন ছিলেন এই বিভাস। শাসকদলে থাকাকালীনই ধীরে ধীরে তাঁর প্রতিপত্তি বাড়ে। যা নিয়ে নলহাটিতে চর্চার শেষ নেই। নলহাটির কৃষ্ণপুর গ্রামে অনুকূল ঠাকুরের আশ্রম গড়েছেন বিভাস।
আরও পড়ুন- এতদিনে মিলল হৈমন্তীর হদিশ? BJP সাংসদ ‘সব’ জানাচ্ছেন CBI-ED-কে
শুধু তাই নয়, আশ্রমের কাছেই আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির কারখানাও গড়েছেন তিনি। ওই আশ্রমের পাশেই রয়েছে বিএড কলেজ ও ডিএলএড কলেজও। যার মালিকও এই বিভাস অধিকারীই। অভিযোগ, তাঁর কলেজে প্রথমে মোটা টাকা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি নেওয়া হতো। তারপর আরও টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো বলে দাবি ইডি সূত্রের।
বিভাস অধিকারীর নলহাটির আশ্রমে তৃণমূল নেতাদের পাশাপাশি একাধিক সময়ে বিজেপির তাবড় নেতারা গিয়েছেন বলেও শোনা যায়। যদিও বর্তমানে তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই সরাসরি যুক্ত নন বলেই দাবি তাঁর। তাঁর দিকে আঙুল তোলায় কুন্তল ঘোষ-গোপাল দলপতিদের দুই চোর-ডাকাত বলেও বিঁধেছেন বিভাস। এর আগে তদন্তের ক্ষেত্রে ইডি-কে সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন বলে দাবি করেছেন বিভাস অধিকারী।
আরও পড়ুন- বাংলায় আরও এক ‘পর্বত-সমান দুর্নীতি’? হাইকোর্ট বললেই তদন্ত! সাফ কথা CBI-র
মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতার হওয়ার পরেই বিভাস অধিকারীর কলকাতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে তা সিল করে দিয়েছে ইডি। সেই ফ্ল্যাটটি খুলে দেওয়ার দাবি করে ইডি-কে আইনি চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিভাস। তবে এরই মধ্যে তাঁর নাম ফের একবার এই কাণ্ডে উঠে আসায় আবারও তাঁর কলকাতার ফ্ল্যাটে গেল ইডি।