পুজো মিটতেই ফের কোমর বেঁধে ময়দানে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এবার রাজ্যের আরও এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর বাড়িতে সাতসকালে ইডির তল্লাশি অভিযান। মন্ত্রীর আপ্ত সহায়কের বাড়িতেও ইডির হানা। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় একযোগে ৮ জায়গায় ম্যারাথন তল্লাশি ইডির অফিসারদের। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় আগেই ধৃত বাকিবুর রহমানকে জেরায় মেলে চাঞ্চল্যকর একাধিক তথ্য। তারই ভিত্তিতে এবার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেকের বাড়িতে ইডির তল্লাশি। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে বাড়িতেই রয়েছেন মন্ত্রী।
রেশন বণ্টন দুর্নীতি কাণ্ডে এর আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রাহমনাকে। তদন্তে নেমে বাকিবুরের পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির খোঁজ পায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। এমনকী দুবাইয়েও তাঁর সম্পত্তির হদিশ মেলে। বাকিবুর রহমানের প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে বলে দাবি সূত্রের।
তদন্তকারীদের অনুমান, বাকিবুরের মাধ্যমেই দুর্নীতির বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্যের একাধিক প্রভাবশালীর যোগ রয়েছে বলেও সন্দেহ কেন্দ্রীয় সংস্থার। দফায়-দফায় বাকিবুর রাহমানকে জেরা করেও একাধিক গুরু্ত্বপূর্ণ তথ্য হাতে আসে তদন্তকারীদের।
সূত্রের খবর, তারই ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সাতসকালে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেকের পাশাপাশি দুটি বাড়িতে ইডির হানা। বাড়ির ভিতরে তল্লাশি ইডির আধিকারিকদের। বাড়ির বাইরে পাহারায় সিআরপিএফের জওয়ানরা।
আরও পড়ুন- রাজ্যপালের পুরস্কার প্রত্যাখ্যান কল্যাণীর সেরা পুজোর, উৎসবের আবহে কেন এই সিদ্ধান্ত?
সূত্রের খবর, বাড়িতেই রয়েছেন মন্ত্রী জ্যেতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ ইডির আধিকারিকদের। এদিন নাগেরবাজারে মন্ত্রীর আপ্ত সহায়কের বাড়িতে তল্লাশিতে যায় ইডি। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় একযোগে এদিন ৮ জায়গায় ম্যারাথন তল্লাশিতে ইডি।
এদিকে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মনে করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে অনেক আগেই কেন্দ্রীয় সংস্থার তল্লাশি হওয়া উচিত ছিল। তিনি এদিন বলেন, "অনেক আগেই এই তল্লাশি হওয়া উচিত ছিল। বাকিবুর রহমান ধরা পড়েছে। তার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি খুঁজে পাওয়া গেছে। এটা তো জানে সবাই, ওপেন সিক্রেট। এই সম্পত্তির মালিক আসলে কে। বাকিবুর একা এত সম্পত্তি কোথা থেকে পেল। কারও সাহায্য ছাড়া এত সম্পত্তি করল কোথা থেকে। একজন সাধারণ মানুষের দুবাইয়ে ব্যবসা, বাংলাদেশে ব্যবসা। কয়েকশো একর জমির কথা নাকি শোনা যাচ্ছে। এই টাকা তো অন্য কারও টাকা। সেই টাকা বাকিবুরের নামে আছে। শুধু রেড করে হবে না এদের জেলের ভিতরে ঢোকাতে হবে।"