ফের কলকাতায় ইডি-র হানা। শনিবার সাতসকালে কলকাতার তিনটি জায়গায় জায়গায় একযোগে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তিন জায়গায় একযোগে হানা ইডির অফিসারদের। গার্ডেনরিচে পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে মিলল টাকার পাহাড়। খাটের তলায় লুকিয়ে রাখাছিল বান্ডিল-বান্ডিল ৫০০ ও ২ হাজারের নোট। অতর্কিতে হানায় মিলেছে বিপুল পরিমাণ টাকা। এরই পাশাপাশি এদিন মোমিনপুর ও পার্ক স্ট্রিটের কাছে ম্যাকলয়েড স্ট্রিটের একটি আবাসনেও হানা দেয় ইডি।
শনিবার সাতসকালে কলকাতার তিনটি জায়গায় একযোগে হানা দেয় ইডি। পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার ম্যাকলয়েড স্ট্রিটের একটি আবাসন ছাড়াও গার্ডেনরিচ ও মোমিনপুরের আরও দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযানে যায় ইডির পৃথক দল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়েই সকাল সাড়ে ৮টা থেকে একযোগে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। শেষ হয় রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ। গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়িতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয় ইডি আধিকারিকদের।
ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির দু'তলার একটি ঘরে খাটের নীচ থেকে উদ্ধার হয় কাঁড়ি-কাঁড়ি টাকা। ৫০০ ও ২ হাজারের বান্ডিল-বান্ডিল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। ৮টি টাকা গোনার মেশিন আনা হয়। শেষ পর্যন্ত ১৭.৩২ কোটি টাকা উদ্ধার হয় । মোবাইল গেমিং অ্যাপে প্রতারণা করেই কোটি-কোটি টাকা লুঠ বলে মনে করচে ইডি। ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের দফায়-দফায় জিজ্ঞাসাবাদ ইডির আধিকারিকদের।
আরও পড়ুন- গার্ডেনরিচে টাকার পাহাড়, ‘চক্রান্ত BJP-র’, ফুঁসছেন ফিরহাদ, ‘ওঁরও কি যোগ?’, সোচ্চার বিরোধীরা
এছাড়াও এদিন মোমিনপুরেও আরও এক ব্যবসায়ী শাহরিয়র আলির ভাড়াবাড়িতে হানা দেয় ইডি। তবে ওই ব্যবসায়ী সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি বাড়িতে চলে তল্লাশি অভিযান। শাহরিয়র বস্ত্র ব্যবসায়ী বলে জেনেছে ইডি। বছরে বেশ কয়েকবার শাহরিয়র বিদেশে যেতেন বলে জানা গিয়েছে। শাহরিয়র সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে খোঁজ চালানো হচ্ছে। এদিন প্রায় সাডে় ৩ ঘণ্টা ধরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চালানোর পর সেখান থেকে বেরিয়ে যান ইডির আধিকারিকরা।
অন্যদিকে, এদিন পার্ক স্ট্রিটর কাছে ম্যাকলয়েড স্ট্রিটেও এক আইনজীবীর বাড়িতে হানা দেন ইডির অফিসাররা। অভিজাত ওই আবাসনের চারতলার ফ্ল্যাটে গিয়ে ওই আইবনজীবীকে এদিন দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডির আধিকারিকরা। তবে এদিন একযোগে এই তিন তল্লাশি অভিযানের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না তা স্পষ্ট হয়নি। তবে আর্থিক দুর্নীতির মামলাতেই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। যদিও ঠিক কোন কোন মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন কলকাতার তিন জায়গার ইডির এই অভিযান তা জানা যায়নি।