ইডি হেফাজতে রয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। চলছে জেরা। এর মাঝেই বুধবার সকাল থেকেই পার্ছ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বেলঘরিয়ার দেওয়ানপাড়ার পৈতৃক বাড়ি, রথতলার দুটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি-র গোয়েন্দারা। তালা ভেঙে রথতলার ফ্ল্যাটে প্রবেশ করতে পেরেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা হানা দেন। বেলঘরিয়ার দেওয়ানপাড়ায় তিনটি গাড়িতে আসেন ইডি আধিকারিকরা। সেই সময় ওই বাড়িতে ছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মা মিনতী মুখোপাধ্যায়। তাঁকে নিচে নেমে যেতে বলেন গোয়ন্দারা। শুরুতে নিচে নামতে নিমরাজি ছিলেন অর্পিতার মা। যদিও পরে এক আধিকারিক তাঁকে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামানোর চেষ্টা করেন। কেন তল্লাশিতে বাধা দিয়েছিলেন অর্পিতার মা? বৃদ্ধা জানিয়েছেন, ইডির গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন শুধু তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন। সেক্ষেত্রে দোতলায় বসেই তা সম্ভব ছিল। পরে তল্লাশির কথা গোয়েন্দার জানালে আস্তে আস্তে একরোখা মনভাব ছেড়ে নিচে নেমে আসেন মিনতীদেবী।
পৈতৃক বাড়ি ছাড়াও বেলঘরিয়ার রথতলায় বিলাসবহুল ক্লাব টাউন আবাসনে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাটের খোঁজ মিলেছে। এ দিন সেখানেও অভিযান চালান ইডি আধিকারিকরা। ফ্ল্যাট দু’টি তালাবন্দ থাকায় প্রথমে ঢুকতে বাধা পান গোয়েন্দারা। শেষ পর্যন্ত ফ্ল্যাট দুটির লক ভেঙে সেখানে প্রবেশ করেন ইডি গোয়েন্দারা। গোটাটাই ভিডিওগ্রাফি করা হয়। পরে অন্য কিছু ভাঙতে চাবিওয়ালাকে ডেকে আনা হয়। স্থানীয়দের দাবি, রথতলার একটি ফ্ল্যাটে সারমেয়রা থাকত। কিন্তু, আপাতত সেখানে সারমেয়দের দেখা যায়নি।
এদিকে তদন্তে উঠে এসেছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্ট বলে একটি সংস্থা রয়েছে। যার ঠিকানা কসবার রাজডাঙা। এ দিন সেখানেই তল্লাশির জন্য যায় ইডি আধিকারিকরা। সময় গড়াতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সংবাদ মাধ্যমে এক ব্যক্তির দাবি, রাজডাঙার ওই ঠিকানায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কোনও সংস্থার অফিস নেই। সেখানে জনৈক ব্যক্তিরভাইয়ের কেবল টিভি সংস্থার অফিস। প্রমাণ হিসাবে ট্রেড লাইসেন্সও দেখান ওই ব্যক্তি। ইডি আঝধিকারিকদেরও একই কথা জানানো হয়েছে। পুলিশে অভিযোগও জানানো হবে বলে দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি। তাহলে কী ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্ট ভুয়ো ঠিকানা থেকে চলত? আপাতত সেই প্রশ্নই বড় হয়ে উঠে আসছে।