/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/09/nusrat-1.jpg)
নুসরত জাহান।
ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় গত ১২ই সেপ্টেম্বর তৃণমূলের তারকা সাংসদ নুসরত জাহানকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। পরে বসিরবাটের সাংসদ সংবাদ মাধ্যমে বলেছিলেন 'সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। সবরকম সহযোগিতা করেছি। সব নথি দিয়েছি।' কিন্তু, নুসরতের সেই দাবির সঙ্গে সহমত নন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। উল্টে ইডির আধিকারিকরা অসুন্তুষ্ট। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সব নথি জমা দেননি নুসরত জাহান। তাই সেসব নথি এবার নুসরত জাহানের থেকে চেয়েছে ইডির আধিকারিকরা।
ফের তলব-
অন্যদিকে, অভইযুক্ত নির্মাণকারী সংস্থা সেভেন্থ সেন্স ইনফ্রাস্টাচারের অন্যতম ডিরেক্টর রাকেশ সিংকে আগামী সপ্তাহে ফের তলব করা হয়েছে ইডির তরফে। গত ১২ সেপ্টেম্বর নুসরতের পাশাপাশি রাকেশকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
অসম্পূর্ণ নথি প্রসঙ্গে কী জানিয়েছিলেন নুসরত?
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ সেপ্টেম্বর হাজিরার আগেই অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরত নাকি তদন্তকারীদের জানিয়েছিলেন যে, সব নথি তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হলেও বর্তমানে সবগুলো জোগাড় করে উঠতে পারেননি তিনি। তখন ইডির গোয়েন্দারা নুসরতকে জানিয়েছিলেন, যেসব নথি জোগাড় করতে পেরেছেন তাই নিয়েই যেন সাংসদ সিজিও-তে আসেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় বাকি নথি নুসরকে দ্রুত জমা দিতে বলেছিলেন তদন্তকারীরা। তবে, সপ্তাহ ঘুরলেও সেই নথি জমা পড়েনি। এতেই 'বিরক্ত' ইডির গোয়েন্দারা।
কোন নথি এখনও জমা করেননি নুসরত?
নুসরত জাহানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেনের তথ্য, সেভেন্থ সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর নিযুক্ত হওয়ার নথি, ওই সংস্থায় তাঁর ভূমিকা এখনও জমা করা হয়নি।
নুসরতের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?
তৃণমূলের তারকা সাংসদ নুসরত জাহান সেভেন্থ সেন্স ইনফ্রাস্টাচারের ডিরেক্টর পদে থাকাকালীন ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে প্রায় ২০ কোটি টাকার প্রতারণা করেছেন। প্রতারিতরা পুলিশে অভিযোগ, মামলা করলেও লাভ হয়নি। এরপর বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা প্রতারিতদের ইডি দফতরে নিয়ে যান। ইডিকে তদন্তের আর্জি জানান প্রতারিতরা।
কী দাবি নুসরতের?
এরপর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে নুসরত জাহান দাবি করেছিলেন, তিনি এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। চাইলে নথি দিয়ে প্রমাণ করে দেবেন। অভিযুক্ত সংস্থার থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। ঋণের অর্থও সুদ সহ ফেরৎ দিয়েছেন।