কয়লা পাচারকাণ্ডে বিভিন্ন সাক্ষীর বয়ান, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি ঘেঁটে খোঁজ পাওয়ার পর বুধবার বালিগঞ্জের দফতরে হানা দিয়েছিলেন ইডি-র গোয়েন্দারা। সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ১ কোটি টাকার বেশি। যা শেষ পর্যন্ত বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। প্রেস বিবৃতি দিয়ে এই তথ্য দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এছাড়কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের ধারণা কোনও এক ‘প্রভাবশালী’ রাজনীতিক কয়লা পাচারের টাকা তছনছের চেষ্টা করছেন। তদন্তে উঠে আসছে মনজিৎ সিংহ গ্রেওয়াল ওরফে জিটি ভাই নামে এক ব্যক্তির নাম। এই জিটি ভাইয়ের মাধ্যমেই 'প্রভাবশালী' রাজনীতিক কয়লা পাচারের টাকা নয়ছয়ের চেষ্টা করেন বলে খবর।
ইডি-র দাবির পরপরই সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাচারকাণ্ডে নাম উঠে আসা জিটি ভাই আসলে কে? তা নিয়েই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে নিশানা করেছেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, মনজিৎ সিংহ গ্রেওয়াল ওরফে জিটি ভাই ভবানীপুর উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন।
টুইটে শুভেন্দু অধিকারী মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ও কার্তীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে লিখেছেন, 'মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল ওরফে জিটি, যিনি ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন তাঁর নামই ইডি-র প্রেস বিবৃতিতে রয়েছে। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর রাজনীতিবিদ ভাই কার্তীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই দেখা যায়। মুখ্যমন্ত্রী কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো জিটি ভাইয়ের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবেন?'
আরেকটি টুইটে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, 'ইডি-র-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে একজন ভ্যক্তির মাধ্যমে অত্যন্ত প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি কয়লা পাচারের অর্থ নয়ছয় করেন। একজন মন্ত্রী অবৈধ নগদ পরিচালনার সঙ্গে জড়িত। প্রমাণ সহ ১.৪ কোটি নগদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ফাঁস শক্ত হয়ে যাচ্ছে!'