দেদার আরাম অতীত। বাকিদের মতো তিনিও এখন জেলবন্দি। তাই বাড়ির বিলাসিতা স্বাভাবিকভাবেই জুটছে না পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এসির ঠাণ্ডা বাতাস ছেড়ে এখন ফ্যানের হাওয়াতেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে দিন কয়েক আগেই প্রাক্তন হয়ে যাওয়া রাজ্যের দাপুটে এই মন্ত্রীকে। অন্যদিকে, তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতাও জেলে পাচ্ছেন সাধারণ 'ট্রিটমেন্ট'। জেলের ভাতেই পেট ভরাচ্ছেন পার্থ ঘনিষ্ঠ এই মহিলা।
এসএসসি দুর্নীতিতে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে এখন জেলের ভাত খাচ্ছেন পার্থ-অর্পিতা। এসি ঘর ছাড়া যাঁরা শোওয়ার কথা ভাবতেও পারতেন না, সেই তাঁরাও এখন ফ্যানের হাওয়াতেই প্রাণ জুড়োচ্ছেন। ব্যাঙ্কশাল কোর্টের নির্দেশে আপাতত ১৪ দিনে জেলেই থাকতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। পার্থ রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। অর্পিতাকে রাখা হয়েছে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে।
প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল সন্ধেয় জেলে পৌঁছনোর পর থেকে মোটের উপর চুপচাপই রয়েছেন একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ রাজনীতিবিদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেলের যে ঘরে পার্থ রয়েছেন তা আগেভাগেই পরিস্কার করে রাখা হয়েছিল। গতরাতে সেখানেই সাধারণ বিছানায় ঘুমিয়েছেন তিনি। সকালে প্রাতরাশে খেয়েছেন বাটার টোস্ট ও চা।
আরও পড়ুন- ‘পিসি চোর, ভাইপো চোর’, BJP-র স্লোগানে ক্ষেপে লাল বিধায়ক, তেড়ে গিয়ে ‘মারধর’
পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তাঁর আত্মীয়দের নিয়ে বহু চর্চা শোনা গেলেও সেভাবে এখন আর তাঁদের দেখা মিলছে না। মেয়ে-জামাই এখনও পড়ে রয়েছেন বিদেশেই। যদিও তাঁদেরও এবার ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। এদিকে, পার্থ জেলে থাকলেও বাড়ির কেউ এলে তাঁর সঙ্গে দেখা করায় বাধা নেই। এমনকী চাইলে তাঁরা পোশাক, খাবারও দিয়ে যেতে পারেন প্রাক্তন মন্ত্রীকে।
এতো গেল পার্থর কথা। তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতাও সাধারণ বন্দিদের মতোই রয়েছেন জেলে। তাঁকেও অন্যদের মতোই সাধারণ খাবার দেওয়া হচ্ছে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে। ইডি হেফাজতে থাকাকালীন ফ্রুট জুস, ড্রাই ফ্রুটসের আবদার জুড়েছিলেন অর্পিতা। তবে জেলে সেসব আবদারের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাকি বন্দিদের মতোই সাধারণ খাবারে পেট ভরাচ্ছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।