গরুপাচার ও সম্পত্তি নয়ছয় মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। তবে, পুজোর আগে তিহাড় জেল থেকে জামিনের সুযোগ নেই বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির। এসবের মধ্যেই চিন্তা বাড়ল কেষ্ট'র। গরু পাচার মামলায় এবার অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ চারজন ইডি'র নজরে। ইতিমধ্যেই ওই চারজনকে ৩ অক্টোবর দিল্লিতে ইডি'র সদর দফতরে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রে খবর।
কোন চারজনকে তলব ইডি'র?
মণীশ কোঠারি জামিন পেলেও গরু পাচার মামলায় গারদে অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর দেহরক্ষী সায়গত হোসেন ও কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা। এবার বীরভূম থেকেই আরও চারজনের ডাক পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইডি'র তলব তালিকায় রয়েছেন বোলপুর পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পুর-প্রতিনিধি শিবনাথ রায়, ওই পুরসভারই স্যানিটারি বিভাগের কর্মী সুদীপ ভট্টাচার্য, পরিবহণ বিভাগের কর্মী কাজল মণ্ডল এবং বোলপুর শহরে বসবাসকারী আইনজীবী গৌতম হাটি। সূত্রের খবর, এঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির ঘনিষ্ঠ।
কেন ইডি'র নজরে এই চারজন?
গরু পাচার মামলায় কাঁচা টাকা হাতবদলের অভিযোগ রয়েছে অনুব্রতদের বিরুদ্ধে। তদন্তে মিলেছিল বহু ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ। ইডি মনে করে ওইসব ভুয়ো অ্যাকাউন্ট মারফৎ হরু পাচারের নগদ তছরুপ করা হয়েছে। এই চার ব্যক্তি সেই হাতবদলের সঙ্গে যুক্ত কি না সেটাই খতিয়ে দেখতে চাইছে ইডি। দেখা হতে পারে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও।
কার বিরুদ্ধে কেন সন্দেহ?
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডেই বাড়ি অনুব্রত মণ্ডলের। ওই এলাকাতেই চালকলে অভিযান করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। মিলেছিল গড়মিল। এরপরই দুর্নীতিতে যুক্ত হওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে। অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ের টাকার উৎস বা প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে গিয়ে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পুর-প্রতিনিধির উঠেছে।
অনুব্রত মণ্ডলের বিভিন্ন মামলার কাজে আইনজীবী গোতম হাটি জড়িত।
দুই পুর-কর্মচারী সুদীপ ভট্টাচার্য ও কাজল মণ্ডল বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষের স্বামী সুদীপ্ত ঘোষের অনুগামী বলে জানতে পেরেছে ইডি। সুদীপ্ত ঘোষ স্থানীয় তৃণমূল ও নেতা ও কেষ্ট ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। সূত্রে খবর, সুদীপ্ত ঘোষকে প্রথম থেকেই নজরে রেখেছে ইডি। আগে তাঁকে় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
মণিশ কোঠারির জামিনের পর জামিনের বিষয়ে আশার আলো দেখা শুরু করেছিলেন অনুব্রত। তবে তাঁরই ঘনিষ্ঠ চারজনকে তড়িঘড়ি ইডি'র তলব বেশ তাৎপর্যবাহী বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- গুরুত্বপূর্ণ দুই পদ সামলে আর্থিক লাভ ফিরহাদের? রাজ্যকে কড়া প্রশ্ন রাজ্যপালের