শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়াই নন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বাবা, মাকে ডেকে পাঠাল ইডি। খবর কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রের। জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহেই অমিত ও লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে ইডি। বৃহস্পতিবারই একই মামলায় সমন পাঠিয়ে আগামী ৩রা অক্টোবর ইডি রাজ্যের শাসক দলের 'সেকেন্ড ইন কমান্ড'কে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠিয়েছে।
অভিষেকের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস। যা নিজেই ঘোষণা করেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। ওই সংস্থারই ডিরেক্টর হিসেবে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত ও মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডির দাবি, অভিষেকের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির যোগ রয়েছে। সেই সূত্রেই, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অন্যতম দুই ডিরেক্টর অমিত ও লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি তলব করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, সংস্থার ডিরেক্টর হিসাবে কী ভূমিকা ছিল অমিত ও লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? তা তাঁদের মুখেই জানতে চাইবেন তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, তাঁদের সংস্থার ও ব্যক্তিগত আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথি আনতে বলা হয়েছে।
লিপস অ্যান্ড বাউন্ড সংক্রান্ত মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থার সম্পত্তির খতিয়ান জমা দিতে বলেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কিন্তু ইডি যে তথ্য জমা দিয়েছিল তা দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। ইডি আধিকারিকদের তুলোধোনা করেন বিচারপতি। বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন ছিল যে, ইডি তাদের নথিতে কেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথা উল্লেখ করেননি? এছাড়াও সাংসদ হলেও অভিষেকের কেন কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই? সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। সাংসদ হিসাবে তাঁর বেতন কোথায় জমা পড়ে সেটাও জিজ্ঞাসা করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। পরে ইডি জানিয়েছিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তখন বিচারপতির প্রশ্ন ছিল, সেই তথ্য তাহলে জমা দেওয়া হয়নি কেন?
ইডি পোস্ট অফিসের মতো কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি। ওইদিনই লিপস অ্যান্ড বাউন্ড নিয়ে কড়া প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন ছিল, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কী ব্যবসা করত? ইডি আধিকারিকদের দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। তারপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপরতা বাড়িয়েছে ইডি। অভিষেককে তলব, পরে তাঁর বাবা, মাকেও সমন পাঠানো হল বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- ফের অভিষেককে তলব ইডি’র, আবারও তৃণমূলের কর্মসূচির দিনই ডাক! হাজিরা দেবেন?