দু'মাসের বেশি সময় ধরে এসএসকেএমে রয়েছেন 'কালীঘাটের কাকু'। সত্যিই কী এতটাই অসুস্থ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র? প্রশ্ন তুলেছেন ইডির গোয়েন্দারা। 'কাকু'র বিষয়ে জানতে তৎপর কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দা দল। এসএসকেএম ও প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গোয়েন্দাদের কথা হয়েছে। এসবের মধ্যেই সুজয়কৃষ্ণ ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'কে কণ্ঠস্বরের নমুনা দিতে নির্দেশ দিলয়েছে বিশেষ ইডি আদালত।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন 'কালীঘাটের কাকু' কণ্ঠস্বরের নমুনা দেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থায় রয়েছেন। রিপোর্টে এমনই জানিয়েছে মেডিক্যাল টিম। তারপরই ইডির আবেদনের ভিত্তিতে বিশেষ আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। 'কালীঘাটের কাকু'র কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করবে সিএফএসএল।
আদালতের নির্দেশ, এসএসকেএম হাসপাতাল বা প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার, কাকু যেখানেই থাকুন না কেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নমুনা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে বলেই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ' কালীঘাটের কাকু'কে এসএসকেএম থেকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে সরানোর জন্য ইডি আবেদন করলেও আদালত সেই বিষয়টি মেডিক্যাল টিমের উপরই ছেড়ে দিয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত মে মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। গ্রেফতারির পর থেকেই তিনি নানা শারীরিক অসুস্থতার দাবি করেছেন। স্ত্রী বিয়োগের পর জেল থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন প্যারলে। এরপর অসুস্থ হয়ে সোজা এসএসকেএম হাসপাতালে। বুকের ব্যাথা, চিকিৎসা, অস্ত্রোপচার-সব মিলিয়ে ২ মাস কেটে গিয়েছে।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্সি জেলে চিঠি পাঠায় ইডি। জেলে থাকাকালীন কাকুর শরীর কেমন ছিল তা জানতে চায় তারা। প্রশ্ন তোলে, বিচারাধীন বন্দি তিনি। কেন এসএসকেএমে এতদিন ধরে রাখা হয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি জেলেও যায় ইডির দল। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নামে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। সূত্রের খবর, সেখানে উল্লেখ রয়েছে, কাকুর ২০ কোটির লেনদেনের। সঙ্গে খোঁজ মিলেছে আরও ৩ কোটির হদিশ। ফের একবার সক্রিয় হচ্ছে ইডি। এবার তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করতে তৎপর তদন্তকারীরা।