Advertisment

প্রমাদ গুনছেন ইডি-র ডাকের? প্রশ্ন শুনেই হাসতে হাসতে নুসরত জাহান বললেন…

কী বলছেন নুসরতের সঙ্গী যশ দাশগুপ্ত?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
nusarat jahan flat fraud case alipore judges court , নুসরত জাহান ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলা আদালতে সশরীরে হাজিরা আলিপুর জজ কোর্ট

বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান।

দুর্নীতির নানা অভিযোগে বিদ্ধ তৃণমূল। এর মধ্যেই বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে ওঠা কোটি কোটি টাকার ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলা জোড়-ফুলের বিড়ম্বনা আরও বাড়িয়েছে। প্রতারণার অভিযোগের তদন্তের জন্য সাংসদের বিরুদ্ধে ইডি ধফতরে গিয়ে তথ্য প্রমাণ জমা করেছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে অবশ্য মুখ খুলেছেন খোদ নুসরত। তবে সব প্রশ্নের জবাব দেননি। যা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। নবান্নে বসে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এসবেরও পরও অভিযোগে অনড় বিজেপি। জল্পনা যে, প্রতারণা মামলায় নুসরত জাহানকে ইডি-র তলবের সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিয়ে কী ভীত বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ? কী বলছেন তিনি?

Advertisment

নুসরতের দাবি, সেভেন সেন্সস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড থেকে সংস্থা থেকেই ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। তা মিটিয়েছেন সুদ সহ। পরে ২০২৭ সালে ওই সংস্থা থেকে ইস্তফা দেন তিনি। যদিও সংবাদ মাধ্যমে সেভেন সেন্সস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের অন্যতম ডিরেক্টর রাকেশ সিং দাবি করেছেন, নুসরত জাহানকে কোনও ঋণ-ই দেওয়া হয়নি। উভয়ের বক্তব্যে গড়মিল স্পষ্ট।

এদিকে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেবের দাবি, নুসরত এক সময় সেভেন সেন্সস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর ছিলেন সেই প্রমাণ ইডি-র কাছে পেশ করা হয়েছে। তাঁর আরও দাবি যে, যে অ্যাকাউন্টে অভিযোগকারীদের দেওয়া টাকা জমা পড়েছিল, সেই টাকা থেকেই নুসরত নিজে পাম অ্যাভিনিউতে কোটি টাকার ফ্ল্যাট কিনেছেন বলেও দাবি করেছেন অভিযোগকারীরা। অভিযোগ গুরুতর।

তাহলে কী এবার নুসরতকে ডাকতে চলেছে ইডি? শঙ্কুদেবের অভিযোগের পর জল্পনা নানা মহলে। এর মধ্যেই সঙ্গী যশ দাশগুপ্তকে পাশে নিয়ে হাসতে হাসতে তৃণমূল সাংসদ বললেন, 'আগের সাংবাদিক বৈঠকে আমি ইতিমধ্যেই যা বলার বলেছি। বাকি টা তো কোর্টে রয়েছে। আর ইডি আমায় ডাকবে না।'

কী বলছেন নুসরতের সঙ্গী যশ দাশগুপ্ত? প্রত্যয়ী সুরে অভিনেতা বলেন, 'আপনাদের বুঝতে হবে বিষয়টা কোর্টে রয়েছে। এবার যা বলার কোর্ট বলবে। মিডিয়াতে অভিযোগের পর অভিযোগ আসতে থাকে যার কোনও ভিত্তি থাকে না। এ নিয়ে শুধু কথা বাড়ে। এর থেকে বেশি কিছু হয় না। তাই আমার মনে হয় এ বিষয়ে কোর্টের নির্দেশেরই অপেক্ষা করা উচিত। এর আগেও সময় প্রমাণ দিয়েছে, এখনও দেবে। ইডি ওকে ডাকবে না।'

tmc Nusrat Jahan
Advertisment