রাজ্যের আইন ও শ্রম দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটকের সুপ্রিম স্বস্তি। আপাতত মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না ইডি।
মলয় ঘটককে বারবার তলব করেছে ইডি। তার বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হন বাংলার মন্ত্রী। মলয় ঘটকের আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করছেন। ইডির তলবে সাড়া দিয়ে হাজিরাও দিয়েছেন। ইডি চাওয়া সব নথিও জমা দিয়েছেন। তবু ছয় থেকে সাতবার তলব করা হয়েছে তাঁকে। তিনি রাজ্যের আইনমন্ত্রী। যেদিন দেশের রাষ্ট্রপতি কলকাতায় যাচ্ছেন, সেদিন তাকে ডাকা হচ্ছে। যেদিন প্রধান বিচারপতি শপথ নেবেন, সেদিন তাঁকে ডাকা হচ্ছে। এমন দিন বেছে বেছে তাকে তলব করা হচ্ছে যেদিন তাঁর পক্ষে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। পরবর্তী শুনানিরর দিন পর্যন্ত যাতে মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া না হয় তার জন্য আর্জি জানান তার আইনজীবী।
শুনানির পর বিচারপতি অনিশ দয়ালের বেঞ্চ মামলাটি পরবর্তী শুনানির জন্য রোস্টার বেঞ্চে পাঠান। ফলে দিল্লি হাইকোর্টে সাংসদ-বিধায়কদের জন্য সুনির্দিষ্ট বেঞ্চই মলয় ঘটকের ইডির বিরুদ্ধে আবেদন মামলার শুনানি হবে।
যেহেতু মলয় ঘটক একজন বিধায়ক, সেই কারণে তাঁর মামলা শুনানি করলেন না দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি অনিস দয়াল। উপযুক্ত কোর্টে মামলা পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত মলয় ঘটককে নতুন করে তলব করবে না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কোর্টে মলয় ঘটকের আইনজীবির আবেদনের প্রেক্ষিতে এই মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন ইডি-র আইনজীবী।
কয়লা পাচার মামলায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সিবিআই-এর মুখোমুখি হয়েছিলেন মলয় ঘটক। তাঁর ডালহৌসির সরকারি বাসভবনে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। সেখানেই তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শুধু তাই নয়, আসানসোল এবং কলকাতায় মলয়ের আরও পাঁচটি বাড়িতেও তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এরপরও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিভিন্ন সময় দিল্লিতে তলব করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। হাজিরা এড়াতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক।