নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নতুন মোড়। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই কালীঘাটের কাকুর ভূমিকা আরও বেশি প্রকট হচ্ছে। এবার এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একটি দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কী আছে সেই চিঠিতে? তা নিয়েই জল্পনার পারদ চড়ছে।
কেন এসএসকেএমকে চিঠি ইডির?
কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নুমনা সংগ্রহ করতে চায় ইডি। সেই কারণেই এবার পিজি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার। এর আগেও একবার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞকে নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। কিন্তু সেই সময়ে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি। তাই এবার সরাসরি এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের।
ইডি সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে একটি ফোন রেকর্ড হাতে পেয়েছে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ওই ফোন কলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছে ইডি। সেই ফোনে থাকা ব্যক্তির কণ্ঠস্বরটি যাচাই করতে মরিয়া তদন্তকারীরা। ইডির সন্দেহ, ফোনের কণ্ঠস্বরটি কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের হতে পারে। সেই কারণেই কণ্ঠস্বরটি পরীক্ষা করে দেখতে জোরকদমে কোমর বেঁধেছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন- সল্টলেকের ব্যবসায়ীর বাড়িতে কেন নিয়মিত যেতেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়? নজর ইডির
এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নতুন একটি চিঠি দিয়েছে ইডি। কবে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা যেতে পারে সেব্যাপারে একটি তারিখ জানাতে বলা হয়েছে পিজি হাসপাতালকে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ তথ্য হাতে পেয়েছে উডি। একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে বলেও একপ্রকার নিশ্চিত ইডি। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই এব্যাপারে বিস্তারিতভাবে কিছু জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন- তুফানি ঠান্ডার জমাটি আমেজ দিন কয়েকেই? শীত নিয়ে রইল জোরালো আপডেট