/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/11/Untitled-design-2021-11-17T195452.807.jpg)
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সংক্রমণ কমেছে, তাহলে কেন বন্ধ করে রাখা হয়েছে স্কুলের দরজা? রাজ্য সরকারকে নিশানা করে তোপ দাগছে বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে ছাত্র সংগঠনগুলি। গত ২৭ জানুয়ারি এই দাবিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সল্টলেকের বিকাশ ভবনে শিক্ষা দফতরের সচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও একাধিক বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারির দাবি করে মাঝপথেই শুভেন্দু ও পদ্ম বিধায়কদের আটকে দেয় পুলিশ। প্রতিবাদে পথে বসেই মমতা সরকারকে আক্রমণ করেন শুভন্দু। রাজ্য সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভবিষ্যত নিয়ে উদাসীন বলেও কটাক্ষ করেন।
এই ঘটনার পরদিন, ২৮ জানুয়ারি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যে স্কুল বন্ধ সম্পর্কিত ইস্যুতে আলোচনার আবেদন জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা সচিবকে মেইল করেন।
রাজ্য সরকার সেই মেইলের জবাব দিয়েছে সোমবার। দফতরের ল অফিসার শুভেন্দুবাবুকে জানিয়েছেন যে, স্কুল খোলার বিষয়টি এখন কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন। তাই এ নিয়ে কোনও আলোচনা সম্ভব নয়।
করোনা মহামারির শুরু থেকে রাজ্যে বন্ধ স্কুল। পঠনপাঠন চলছে অনলাইনে। নভেম্বর মাসে নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য স্কুল খুললেও করোনার তৃতীয় ঢেউ মাথাচাড়া দেওয়ায় তা ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে সংক্রমণ। শিথিল হয়েছে বিধি। কিন্তু বন্ধই রয়েছে স্কুল, কলেজ। দীর্ঘদিন পড়ুয়ারা স্কুলে না যাওয়ায় তাঁদের মানসিক বিকাশ ব্যহত হচ্ছে বলে দাবি শিশু চিকিৎসকদের। সোচ্চার শিক্ষক থেকে ছাত্র সংগঠনগুলি। দাবি পূরণে এ দিনই বিভিন্ন জেলা, বিকাশ ভবনের সামনে ও কলেজ স্ট্রিটে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই।