শুক্রবার বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দ্বিতীয়দফায় বৈঠক করলেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধিরা। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে এই বৈঠক চলে। বৈঠক শেষে আশাবাদী চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধি দল। দাবি করলেন, শীর্ঘই নিয়োগপত্র হাতে পাবেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, জট কাটার ডেডলাইন ১ ফেব্রুয়ারি। এই তারিখের কথাই শুনেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে,চাকরিপ্রার্থীদের এই ডেডলাইনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর সাফ দাবি, 'নির্দিষ্ট কোনও দিনক্ষণ আমি এখনই বলতে চাইছি না, বলতে পারছি না।' শিক্ষামন্ত্রীর কথারই প্রতিধ্বনী করেছেন মধ্যস্থতাকারী কুণাল ঘোষও।
এ দিনের বৈঠক শেষে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধিদের একজন বলেন, 'আমরা একটা ডেডলাইন চেয়েছিলাম। তা পেয়েছি। ১ ফেব্রুয়ারি। আশা করছি তারমধ্যে একটা কার্যকরী জায়গায় পৌঁছে যাব। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পেয়ে যাব বলে আশা করছি। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সেরকম একটা নির্দেশ এসেছে বলে আমরা এরকম একটা তারিখ পেয়েছি।'
এরপরই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, 'ওরা একটা দাবি করেছেন। ওরা চাইছেন ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যদি বিষয়টা শেষ করা যায়। কিন্তু, আমরা তো কোনও নির্দিষ্ট দিনের কথা বলতে পারি না। তবে মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন দ্রুত বিষয়টা হোক। আজকের আলোচনা সদর্থক হয়েছে। কুণাল ঘোষ উদ্যোগ নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত চাকরি দেবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আমার কাজটা মূলত এদের মাঝখানে একজন কো-অর্ডিনেটরের মতো। স্বচ্ছভাবেই নিয়োগ হবে। তবে নির্দিষ্ট কোনও দিনের কথা হয়নি। নির্দিষ্ট কোনও দিনক্ষণ আমি এখনই বলতে চাইছি না, বলতে পারছি না। তবে নিয়োগ নিয়ে আমি আশাবাদী।'
আরও পড়ুন- বিচারপতি সিনহার স্বামীকে বারবার ডাকছে CID! তাঁর এজলাসে মুখ খুললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ বৈঠকে মধ্যস্থতাকারী বলেছেন, 'অমুক দিন জট খুলবে সেটা বলা যাবে না। আন্দোলনকারীরা বলেছেন, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে যাতে জট খোলে। আমিও পূর্ণ সহমত প্রকাশ করেছি।'
যদিও চাকরিপ্রার্থীদের দাবির পাল্টা শিক্ষামন্ত্রীর গলায় অন্য সুর ধরা পড়তেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। নিয়োগ জট যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেল কিনা সেই প্রস্ন উঠছে।
নিয়োগ বৈঠক ইস্যুতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন,'কিচ্ছু হবে না। অশ্বডিম্ব! ২০১৯ সালের মতোই ২৪-এর ভোটের আগে টুপি পরাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্যানেল ১ বছরের বেশি স্থায়ী হয় না। অতিরিক্ত পদ তৈরি করতে পারে সরকার। সেক্ষেত্রে পরীক্ষা নেওয়া বাধ্যতামূলক।'
এই প্রসঙ্গে আইনজীবী তথা সিপিআইএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন,'চাকরিপ্রার্থীদের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে তাঁদের লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কখনও পাঠাচ্ছেন বিচারপতির বাড়িতে, কখনও পাঠাচ্ছেন আমার কখনও পাঠাচ্ছেন বিচারপতির বাড়িতে, কখনও পাঠাচ্ছেন আমার বাড়িতে। সরকার সৎ হলে আদালতে দাঁড়িয়ে বলুক সব বেআইনি নিয়োগ বাতিল। তাহলে যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পেয়ে যাবেন।'