বঙ্গের দুয়ারে কড়া নাড়ছে শীত। তার মধ্যেই মহার্ঘ হল পোলট্রি ডিম। শীত আসার আগে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ডিমের দামে হেরফের হয়, এটাই রীতি। এবারও তার অন্যথা হল না। খুচরো বাজারে কয়েকদিন আগেও ডিমের দাম ছিল জোড়াপ্রতি ১০-১১ টাকা। সেই দাম বেড়ে হয়ে গেল ১২-১৩ টাকা। কিছু জায়গায় সেটা ১৪ টাকা জোড়া। দামের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। শীতের মুখে ডিমের দাম বাড়ায় মাথায় হাত মধ্যবিত্ত বাঙালির।
শীত মানেই খাওয়া-দাওয়ার বহর বাড়ে। ডিম-মাংসের চাহিদা বাড়ে। বিভিন্ন খাবারে, ফাস্ট ফুড, কেক তৈরির জন্য ডিম অপরিহার্য। তাই চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও বাড়ল ডিমের।
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বাজার কমিটির টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানিয়েছেন, "বাংলায় চাহিদা অনুযায়ী ডিমের জোগানের খামতি রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে দেড় কোটি ডিম বাইরে থেকে আসে পশ্চিমবঙ্গে। সেটা শীতকাল পড়ে যাওয়ার কারণে ডিমের চাহিদা বেড়েছে। কেক তৈরির জন্য তো বটেই, উত্তর ভারতীয়রা এই সময়ে প্রচুর ডিম খান।"
আরও পড়ুন কমল ডিজিপির হার, আর্থিক বৃদ্ধিতে তবুও ভারতই সেরা!
তিনি আরও বলেছেন, "মুখ্যমন্ত্রী টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন ডিমের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য। উৎপাদন বাড়ানোও হয়েছে। প্রতিদিন রাজ্যে সাড়ে চার কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে। বাইরে থেকে যে ডিমটা আসে সেটা মূলত দক্ষিণ ভারত থেকে। শীতে ডিমের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে দাম বাড়ছে।"
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নবান্নে টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে বৈঠকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, সবজি, মাছ-মাংসের দাম এত কেন, নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পাশাপাশি, মাংস-ডিমের উৎপাদন রাজ্যে বাড়ানোর জন্য নির্দেশও দেন তিনি।