এগরায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যুমিছিল। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯। স্থানীয়রা পুলিশের ভূমিকায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ। পুলিশকে বার বার বলা সত্ত্বেও বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই মর্মান্তিক পরিণতি ঘটেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। মঙ্গলবার বিস্ফোরণের পর পুলিশ গেলে শুধু বিক্ষোভ দেখানোই নয়, উর্দি টেনে ছিঁড়ে দেন তাঁরা। ধাক্কাধাক্কির পর লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করেন গ্রামবাসীরা।
Advertisment
স্থানীয়দের মূল অভিযোগ, পুলিশ এসে মাসে মাসে টাকা নিয়ে যেত। এগরার খাদিকুল গ্রামে সেই বাজি কারখানার বিরুদ্ধে যাতে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেয় তার জন্য মাসোহারা দেওয়া হত। কিছুদিন আগেই কালিয়াগঞ্জে জনরোষের মুখে পড়েছিল পুলিশ। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল থানা। জনতার হাত থেকে রক্ষা পেতে লুকিয়ে থাকলেও রেহাই পায়নি পুলিশ। মঙ্গলবার সেই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হল এগরারা খাদিকুল গ্রামে।
প্রসঙ্গত মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে সেখান থেকে রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে দেহ। ওড়িশা সীমানার কাছে এগরায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের পরেই খাদিকুল গ্রামে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশ। 'বেআইনি বাজি কারখানা চালানোর অভিযোগে আগেও গ্রেফতার ভানু বাগ, এগরা বিস্ফোরণ নিয়ে জানালেন পুলিশ সুপার। আগেও গ্রেফতার, তাহলে কীভাবে ফের রমরমিয়ে বেআইনি বাজির কারখানা? উঠছে প্রশ্ন।
এদিকে, আজ বুধবার খাদিকুল গ্রামে যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি গতকাল অভিযোগ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ লাশ লুকিয়ে ফেলতে পারে। মৃতদেহ লোপাট করার দাবি করেছেন তিনি। বিষ্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই এনআইএ তদন্তের দাবি করেছে বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেও বলেছেন এনআইএ তদন্তে আপত্তি নেই।