এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী। এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন বিরোধী দলনেতা। প্রধান বিচারপতির এজলাসে মামলা করার অনুমতি চান বিরোধী দলনেতার আইনজীবী। মামলার অনুমতি দিয়েছে আদালত। সম্ভবত আগামিকাল, বৃহস্পতিবার শুনানি। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এনআইএ তদন্তের পক্ষে। মঙ্গলবারই তিনি জানিয়েছেন, এনআইএ তদন্তে তাঁর আপত্তি নেই।
Advertisment
এগরায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যুমিছিল। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯। স্থানীয়রা পুলিশের ভূমিকায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ। পুলিশকে বার বার বলা সত্ত্বেও বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই মর্মান্তিক পরিণতি ঘটেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। মঙ্গলবার বিস্ফোরণের পর পুলিশ গেলে শুধু বিক্ষোভ দেখানোই নয়, উর্দি টেনে ছিঁড়ে দেন তাঁরা। ধাক্কাধাক্কির পর লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করেন গ্রামবাসীরা।
স্থানীয়দের মূল অভিযোগ, পুলিশ এসে মাসে মাসে টাকা নিয়ে যেত। এগরার খাদিকুল গ্রামে সেই বাজি কারখানার বিরুদ্ধে যাতে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেয় তার জন্য মাসোহারা দেওয়া হত। কিছুদিন আগেই কালিয়াগঞ্জে জনরোষের মুখে পড়েছিল পুলিশ। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল থানা। জনতার হাত থেকে রক্ষা পেতে লুকিয়ে থাকলেও রেহাই পায়নি পুলিশ। মঙ্গলবার সেই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হল এগরারা খাদিকুল গ্রামে।
শুভেন্দু অভিযোগ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ লাশ লুকিয়ে ফেলতে পারে। মৃতদেহ লোপাট করার দাবি করেছেন তিনি। বিষ্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই এনআইএ তদন্তের দাবি করেছে বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেও বলেছেন এনআইএ তদন্তে আপত্তি নেই।
শুভেন্দু এদিন খাদিকুল গ্রামে গিয়ে স্বজনহারাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি সেখানে গিয়ে বলেন, "রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর আর এক মিনিটও চেয়ারে বসার অধিকার নেই। পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে মহামিছিল হবে। তাঁর পদত্যাগ চাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে না সরালে বাংলার পরিত্রাণ নেই। ভানু বাগের বাড়ি পাহারা দিচ্ছে মমতার পুলিশ।"