ইংরেজদের কাছে মাথা নোয়াননি তিনি। পরাধীনতার অন্ধকার থেকে দেশকে মুক্তি দিতে তাঁর অসম-সাহসী লড়াই ছিল কুর্নিশ করার মতোই। অবিভক্ত মেদিনীপুরের অগ্নিকন্যা মাতঙ্গিনী হাজরার নাম আজও দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। অথচ সেই মাতঙ্গিনী হাজরার জন্মভিটে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও কার্যত অন্ধকারে ঢাকা। তবে এবার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তমলুকের শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের হোগলা গ্রামে মাতঙ্গিনী হাজরার বাড়িতে বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা হচ্ছে।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে অবিভক্ত মেদিনীপুরের স্বাধীনতা সংগ্রামের অধ্যায়। দেশকে পরাধীনতার অন্ধকার থেকে স্বাধীনতার আলোয় পৌঁছে দিতে মেদিনীপুরের বহু মানুষ শহিদ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যেই উল্লেখযোগ্য নাম মাতঙ্গিনী হাজরা।
গান্ধী বুড়ি নামে খ্যাত মাতঙ্গিনী হাজরা। ভারত ছাড়ো আন্দোলনে উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তমলুক থানা দখল অভিযানে মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাতঙ্গিনী হাজরা। তমলুক থানার কাছে বানপুকুর পাড়ে ব্রিটিশ বাহিনীর গুলিতে লুটিয়ে পড়েও জাতীয় পতাকা মাটিতে পড়তে দেননি তিনি। ১৯৪২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ বাহিনীর গুলিতেই তিনি শহিদ হন।
আরও পড়ুন- শীতে পায়ের দুর্গন্ধকে বলুন গুড-বাই, মেনে চলুন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মূল্যবান টিপস
দেশকে স্বাধীনতার আলোয় পৌঁছে দিতে মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ব্রিটিশ পুলিশের গুলিতে মৃত্যুবরণ করে নেওয়া এই মহীয়সীর জন্মভিটে স্বাধীনতার ৭৫ বছর বাদেও অন্ধকারে ঢাকা। তবে অবশেষে সেদিন ঘুঁচছে। শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে হোগলা গ্রামে মাতঙ্গিনী হাজরা বাড়ি আলোকিত হতে চলেছে।
তমলুকের হোগলা গ্রামে মাতঙ্গিনী হাজরা জন্মেছিবেন। এই হোগলা গ্রামে থাকা তাঁর বাড়িতে নেই বিদ্যুতের সংযোগ। সন্ধে নামলেই নামলেই অন্ধকারে ডুবে যায় মাতঙ্গিনী হাজরার ছোট্ট বাড়ি। স্থানীয় মানুষের দাবি ছিল মাতঙ্গিনী হাজরার বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগের বন্দোবস্ত করা হোক। অবশেষে স্থানীয় বাসিন্দাদের সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে।
আরও পড়ুন- শীতে পায়ের দুর্গন্ধকে বলুন গুড-বাই, মেনে চলুন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মূল্যবান টিপস
সম্প্রতি শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মাতঙ্গিনী হাজরার জন্মস্থান হোগলা গ্রামে মাতঙ্গিনী কুটিরে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা হবে। বিদ্যুতের মিটার, বিদ্যুতের বিল বাবদ খরচ শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতি থেকেই দেওয়া হবে। পঞ্চায়েত সমিতির অর্থ ও পরিকল্পনা স্থায়ী সমিতির বৈঠকে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।