Fish farming: রাজ্য সরকারের এমন উদ্যোগে চটজলদি বেশ কিছু কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রশাসনের তরফেই এব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। প্রশাসনের কর্তারাও বলছেন, এমন উদ্যোগের জেরে গ্রামীণ এলাকার বহু মানুষ রোজগারের দিশা খুঁজে পাবেন।
Fish farming: রাজ্য সরকারের এমন উদ্যোগে চটজলদি বেশ কিছু কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রশাসনের তরফেই এব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। প্রশাসনের কর্তারাও বলছেন, এমন উদ্যোগের জেরে গ্রামীণ এলাকার বহু মানুষ রোজগারের দিশা খুঁজে পাবেন।
এই কারবারে প্রশাসনের তরফে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
guppy fish farming to prevent dengue: রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মানচিত্রে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা অন্যতম ডেঙ্গিপ্রবণ জেলা হিসাবে চিহ্নিত রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এবার ডেঙ্গি রোধের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। আর ডেঙ্গি রোধে বিশেষ এই উদ্যোগ জেলায় কর্মসংস্থানের পথ খুলে দিয়েছে।
Advertisment
গরম পেরিয়ে বর্ষাকাল দরজায় কড়া নাড়ছে। বর্ষাকাল মানেই ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়ে ওঠে। আর ডেঙ্গি রোধে বা ডেঙ্গি দমনে একাধিক উপায় গ্রহণ করে প্রশাসন। যার মধ্যে অন্যতম হল শহর এলাকার পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকায় ড্রেন ও খাল নালাতে গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়। কারণ গাপ্পি মাছ মশার লার্ভা খেয়ে মশার বংশবিস্তার রোধ করে। আর এই গাপ্পি মাছ-ই কর্মসংস্থানের পথ দেখাচ্ছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ডেঙ্গি প্রবণ হওয়ায় এবার জেলায় নদী, খাল-বিল, জলাশয়, ড্রেনে প্রায় ১০ লক্ষ গাপ্পি মাছ ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।এই ১০ লক্ষ গাপ্পি মাছের বরাত দেওয়া হয়েছে সিএডিসি তমলুক প্রজেক্টকে। সিএডিসি এই কাজের জন্য স্ব-সহায়ক দলের মহিলাদের নিযুক্ত করেছে গাপ্পি মাছ উৎপাদনের জন্য। জেলার ২৫টি ব্লকের বিভিন্ন সহায়ক দলকে এই কাজে যুক্ত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সিএডিসি তমলুক প্রোজেক্ট নিজেরাই ২ লক্ষ গাপ্পি মাছ উৎপাদন করবে। বাকি আট লক্ষ গাপ্পি মাছ জেলার ২৫ টি ব্লকের সহায়ক দলের মহিলাদের দিয়ে উৎপাদন করানো হবে। ফলে গ্রামের মহিলারা গাপ্পি মাছ চাষের মধ্যে দিয়ে কর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পাবেন।
এ বিষয়ে সিএডিসি তমলুক প্রজেক্টের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর উত্তম কুমার লাহা বলেন, 'ডেঙ্গি দমনে গ্রাম পঞ্চায়েত দফতর থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জন্য ১০ লক্ষ গাপ্পি মাছের অর্ডার পেয়েছে সিএডিসি। ২ লক্ষ মাছ তৈরি করবে সিএডিসি। বাকি মাছ সিএডিসি স্ব-সহায়ক দলের মহিলাদের দিয়ে উৎপাদন করাবে। এর জন্য ইতিমধ্যেই সিএডিসি তমলুক প্রজেক্টে গাপ্পি মাছের চাষ শুরু হয়েছে। স্ব-সহায়ক দলের মহিলাদের এই মাছ চাষের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণের পর মহিলাদের বিনামূল্যে চাষের জন্য গাপ্পি মাছ দেওয়া হবে। গাপ্পি মাছের বাজার মূল্য এক থেকে দেড় টাকা। আর এর চাষের খরচ বাজার মূল্যর থেকে তিন ভাগের এক ভাগ। ফলে এই মাছ চাষ করে লাভবান হবে মহিলারা।"
সুতরাং, গাপ্পি মাছ চাষের মাধ্যমে একদিকে যেমন ডেঙ্গি প্রতিরোধ করা যাবে তেমনই তা চাষের মাধ্যমে জেলায় কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে আশাবাদী প্রশাসনের কর্তারা। এই মাছ চাষ অত্যন্ত লাভজনক। সহজেই চাষ করা যায়। ফলে জেলা জুড়ে ডেঙ্গি দমনে সরকারি উদ্যোগ গ্রহণে স্ব-সহায়ক দলের মহিলাদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ দৃষ্টান্ত তৈরি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।