সপ্তাহের শুরুতেই আলিপুর চিড়িয়াখানায় বিধানসভার এস্টিমেট কমিটির ১০ সদস্য। খতিয়ে দেখলেন চিড়িয়াখানার পশুপাখিদের খাঁচা, চিড়িয়াখানার পরিবেশ, খোঁজ নিলেন এই গরমে কেমন আছে তারা? পাশাপাশি আর কিছুদিনের মধ্যেই বিধানসভায় রিপোর্ট জমা দেবেন এই কমিটির সদস্যরা। আগামী বছরই ১৫০ বছরে পা দিতে চলেছে আলিপুর চিড়িয়াখানা। তার আগে এস্টিমেট কমিটির এই সারপ্রাইজ ভিজিট ঘিরে আশাবাদী চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। অদূর ভবিষ্যতে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দের আশায় বুক বাঁধছে আলিপুর চিড়িয়াখানা। তবে কী আমূল বদলে যেতে চলেছে আলিপুর চিড়িয়াখানা?
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুসারে ফি বছর প্রায় ৩৩ লক্ষ দর্শক ভিড় জমান আলিপুর চিড়িয়াখানায়। এই বিপুল সংখ্যক ট্যুরিস্টের কথা মাথায় রেখেই ভোলবদল হতে চলেছে আলিপুর চিড়িয়াখানার। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তরফে এব্যাপারে এক বিস্তৃত রূপরেখা বিধানসভার এস্টিমেট কমিটির ১০ সদস্য’র সামনে আজ তুলে ধরা হয়েছে। কী রয়েছে সেই রূপরেখায়?
সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে চিড়িয়াখানা চত্ত্বরে এবার থেকে থাকবে ঠাণ্ডা পানীয় জলের ব্যবস্থা। একই সঙ্গে চিড়িয়াখানার ভিতর পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি, চিড়িয়াখানার ঠিক বাইরেই চালু হতে চলেছে অত্যধুনিক এসি রেস্তোরাঁ। সেই সঙ্গে সবুজায়নের কথা মাথায় রেখে চিড়িখানার ভিতরে স্টলের সংখ্যা কমানোর পাশাপাশি, পশুপাখিদের থাকার আদর্শ পরিবেশ গড়ে তোলার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে তৈরি হতে চলেছে পূর্ব ভারতের প্রথম রঙিন মাছের সুবিশাল অ্যাকোরিয়ামও। সেই সঙ্গে বয়স্ক মানুষদের জন্য চিড়িয়াখানা ভ্রমণের জন্য রাখা হবে বিশেষ গাড়িও। এই সকল প্রস্তাব বিধানসভার এস্টিমেট কমিটির সামনে আজ তুলে ধরা হয়েছে।চূড়ান্ত অনুমোদন মিললেই ভোলবদল হতে চলেছে আলিপুর চিড়িয়াখানার।
বিধানসভার এস্টিমেটস কমিটির ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দলে ছিলেন নির্মল মাঝি, মিহির গোস্বামী সহ একাধিক বিধায়ক। চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করে চিড়িয়াখানার পরিকাঠামো তে কি কি বদল আনতে হবে ,পশু পাখির গরম কালে দেখভাল করার জন্য আর কি কি বিষয়ের প্রয়োজন, সব বিষয় খতিয়ে দেখে রিপোর্ট তৈরি করে তা বিধানসভায় পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিনিধি দলের তরফে জানানো হয়েছে, “সামনেই চিড়িয়াখানার ১৫০ বছর পূর্তি তার আগে পশু স্বাস্থ্য ও পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জ্য খতিয়ে দেখতে আজ প্রতিনিধিদল চিড়িয়াখানায় ভিজিট করেছে। আলিপুর চিড়িয়াখানার পরিকাঠামো উন্নয়নে একাধিক বিষয় নিয়ে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই কমিটি তাদের রিপোর্ট পেশ করতে চলেছে।
কমিটির সদস্য’র কথায়, “চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাজ দেখে, কমিটি খুশি। পরিদর্শনের পর, কমিটির ১০ জন মিলে আলোচনা করে, তবেই রিপোর্ট পেশ করা হবে৷ আলিপুর চিড়িয়াখানা এশিয়ার পুরনো চিড়িয়াখানার মধ্যে অন্যতম। ১৫০ বছরের পুরনো এই চিড়িয়াখানায় প্রতিবছর প্রায় ৩৩ লক্ষ দর্শক আসেন৷ তাই এই চিড়িয়াখানা যাতে সঠিক অবস্থায় থাকে এবং আরও আধুনিক ভাবে দর্শকদের নিজেকে তুলে ধরতে পারে তার জন্য কর্তৃপক্ষ যাতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন সেই সব দিকে নজর রাখা হবে।