সোয়েটার, লেপ কার্যত অবহেলায় পড়ে। সকাল ও রাতে হাওয়ায় শিরশিরানি অনুভূত হচ্ছেষ তবে, বেলা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রীতিমত ঘাম ঝরছে। ডিসেম্বরের শুরুতে জাঁকিয়ে পড়লেও বড়দিন থেকেই উধাও ঠান্ডা। মন খারাপ শীতপ্রেমীদের। তাহলে কী নতুন বছরেও শীতের দেখা মিলবে না?
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে খবর, বাংলাদেশে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। তারই দাপটেই এপাড় বারংলার শীতের দফারফা। ওই ঘূর্ণাবর্তের জেরে কমে যাচ্ছে উত্তর-পশ্চিমী শীতল হাওয়ার প্রভাব। বদলে ঢুকে পড়ছে প্রচুর জলীয় বাষ্প। এই কারণে ডিসেম্বরে দিনেরবেলায় গরম অনুভুত হচ্ছে। আগামী অন্তত আরও ৫ দিন এইরকমই পরিস্থিতি থাকবে। অর্থাৎ, আপাতত শীত সোনার পাথর-বাটি। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ঠান্ডার তেমন অনুভূত হবে না।
শুক্রবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। বলা যায়, কলকাতার গড় তাপমাত্রা শুক্রবার থাকবে ১৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৫৮ থেকে ৯২ শতাংশ।