ভোট প্রচারে বঙ্গে এসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধুয়াধাঁর আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি এদিন বলেন, 'স্রেফ ভোটব্যাঙ্কের ভয়ে রাম মন্দির উদ্বোধনে যাননি মমতা'। বুধবার কাঁথিতে তাঁর সমাবেশে থেকে মমতা কার্যত চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন তিনি।
নির্বাচনী প্রচারে বিরোধীদের উপর আক্রমণ জোরদার রেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, "অনুপ্রবেশকারীরা মমতা দিদির ভোট ব্যাংক। মমতা দিদি সিএএ বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন কারণ তিনি তিনি ভোটব্যাঙ্ককে ভয় পান। ইউপিএ শাসনকালে পাকিস্তানিরা আমাদের আক্রমণ করত এবং তারপরে পালিয়ে যেত..! কিন্তু, মোদীজির জমানায় সন্ত্রাসবাদীরাও ভয়ে এখন ঠকঠক করে কাঁপছে। ভারতের দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহসও তারা করছে না"। একই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের এক নির্বাচনী সমাবেশ থেকে বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, 'ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের মঞ্চে ছবি তোলা ছাড়া আর কখনও একসঙ্গে যায় নি'।
লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফায় রাজ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে ভোট রয়েছে। অধিকারী গড় বলে পরিচিত কাঁথি এবং তমলুকে ভোটগ্রহণ রয়েছে। তার আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কোলাঘাটের বাড়িতে হানা দিল পুলিশ। যা ঘিরে রাজনীতির পারদ চড়েছে।
পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, এক দুষ্কৃতীর সন্ধানে শুভেন্দুর ভাড়াবাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁরা। যদিও বিরোধী দলনেতা গোটা ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ। এদিকে এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের পিএ-র বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তা নিয়েও শোরগোল শুরু হয়েছে। এর মাঝে রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে বিরোধী দলনেতার বাড়িতে পুলিশি অভিযান নিয়ে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
মমতাকে নিশানা বুধবার ভূপতিনগরে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর সমর্থনে নির্বাচনী সমাবেশ থেকে মমতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অমিত শাহ বলেন, 'শুভেন্দুর উপর যত অত্যাচার করবে ভারতীয় জনতা পার্টি ওঁকে তত বড় নেতা বানাবে'। পাশাপাশি অমিত শাহ বলেছেন, ‘মমতা এখন হারের ভয়ে কাঁপছেন। কাল আমি কলকাতায় পা দিতেই বিরোধী দলনেতার বাড়িতে পুলিশ হানা দিল। আমরা বিজেপি করি, আপনার পুলিশকে ভয় পাই না। আপনার মন্ত্রীদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হলে ৫১ কোটি টাকা মিলেছিল। আর শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে তল্লাশি হল, চার আনা পয়সা বার করতে পারেনি আপনার পুলিশ।’ হুঙ্কার ছুঁড়ে তিনি বলেন, 'পুলিশের অপব্যবহার বন্ধ করুন। নইলে বাংলার মানুষ যে ২- ৪টে আসন দিত সেগুলিও এবার হাতছাড়া হবে'।
এদিকে পুলিশি অভিযান নিয়ে শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগেছেন। বলেছেন, এই নিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন। পাশাপাশি পুলিশের উপরেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।