এ যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি! বুধবার সবে তখন ঘড়ির কাঁটা সকাল ১০টা পেড়িয়েছে। আচমকা সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে পৌঁছলেন টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী। পুরসভায় নিয়োগ 'দুর্নীতি'র তদন্ত করছে ইডি। এই দুর্নীতিকাণ্ডে নাম রয়েছে টিটাগড় পুরসভার। ইতিমধ্যেই প্রশান্তবাবুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অফিসাররা। বেশ কয়েকবার তাঁকে সল্টলেকের ইডি দফতরেরও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাহলে কী ফের এ দিন ওই দুর্নীতি মামলায় তলব করা হয়েছে প্রশান্ত চৌধুরীকে? এই প্রশ্নই তখন সকলের মুখে মুখে।
দেখা গেল, মিনিট খানেকের মধ্যে ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে আসছেন প্রশান্ত চৌধুরী! এরপরই তিনি মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের। আজ কি তাঁকে সমন ধরানো হয়েছিল? টিটাগড়ের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বললেন, 'আমাকে ডাকা হয়নি। আমি এসেছিলাম, আমাকে আবার কবে ডাকা হবে, সেটা জানতে। ওঁরা বললেন, ফোন করে পরবর্তী হাজিরার তারিখ জানিয়ে দেবেন।'
কেন হঠাৎ আগাবাড়িয়ে প্রশান্তের এই পদক্ষেপ? তা অবশ্য খোলসা করেননি টিটাগড়ের প্রাক্তন চেয়ারম্যান।
পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় গত ৭ এবং ৮ নভেম্বর ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন প্রশান্ত চৌধুরী। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ইডির গোয়েন্দারা। তার আগে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চলেছিল। টিটাগড়ের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জানান, তল্লাশির দিনই তাঁর দু'টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরে হাজিরার দিন তাঁর সামনেই ওই দু'টি মোবাইলের সিল খুলে সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছিল ইডি।
টিটাগড় পুরসভায় কী সত্যিই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল? প্রশান্তবাবুর জবাব, 'আমি যখন টিটাগড় পুরসভার প্রধান ছিলাম, তখন ২৪০ জনের নিয়োগ হয়েছিল। আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। মূলত নথিগুলি জমা দিতে হচ্ছে।'