/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/07/Buddhadeb-Bhattacharjee.jpg)
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
বাইপ্যাপ সাপোর্টে থাকলেও আপাতত কিছুটা সুস্থ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থা। উডল্যান্ডসের চিকিৎসকরা মঙ্গলবার সকালে জানিয়েছেন যে, অক্সিজেন ছাড়া নিজেই ঘণ্টা দুয়েক শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পেরেছেন সিপিএমের এই প্রবীণ নেতা। কমেছে সিআরসি-র পরিমাণও। শরীর কিছুটা ভালো হতেই চিকিৎসকদের কাছে কাতর 'আর্জি' জানিয়েছেন বুদ্ধবাবু!
আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের থেকে পাওয়া খবর অনুসারে, মঙ্গলবার সকালেই নাকি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যবলেছেন, 'আমাকে ছেড়ে দিন, বাড়ি যাব। আমি আমার দু-কামরার ফ্ল্যাটেই ভাল থাকব।'
তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই ‘আর্জি’তে তেমন সাড়া দিতে নারাজ উডল্যান্ডসের চিকিৎসকদল। তাঁদের মতে, বছর ৭৯-য়ের বকমরেডের শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও এখনও গভীর তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন। ফলে হাসপাতালেই থাকতে হবে তাঁকে।
আরও পড়ুন-কলকাতায় অসুস্থ বুদ্ধদেব, দিল্লিতে অনুশোচনায় ক্ষত-বিক্ষত তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ!
গত শনিবার ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁরচিকিৎসায় ৯ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। নানা পরীক্ষার পর দেখা যায় যে, বুদ্ধবাবুর ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁর শ্বাসকষ্ট রয়েছে। প্রবীণ এি রাজনীতিককে সুস্থ করতে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রেখে টানা দু’দিন লড়াই চলে। সোমবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। ওইদিন বিকেলে ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনা হয় তাঁকে। আপাতত তিনি রয়েছেন বাইপ্যাপ সাপোর্টে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থায় আরও কিছুটা উনন্তি হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। চিকিৎসকরা জানান, তিনি অক্সিজেন ছাড়া নিজেই ঘণ্টা দুয়েক শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পেরেছেন প্রবীণ কমরেড। কমেছে সিআরসি’র পরিমাণও। তবে কাশি রয়েছে। সেই কারণে এখনও রাইলস টিউবে খাওয়ানো হচ্ছে।
চিকিৎসকদের কথায়, আগেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চেতনা ফিরেছিল। হাত নেড়ে, ইশারায় নানাভাবে নিজের কথা বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন। সোমবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, তাঁকে দেখে হাত নেড়েছিলেন বুদ্ধবাবু। আজ সকাল থেকে তিনি সামান্য কথা বলে জানান চিকিৎসকরা। তারপরই আবেদন করেন বাড়ি ফেরার।