Nirapada Sardar granted bail in Sandeshkhali case: সন্দেশখালি মামলায় ধৃত সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বরের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রস্ন তুলেছেন। এরপরই নিঃশর্ত জামিন মঞ্জুর করেছেন এই বাম নেতার।
উচ্চ আদালতের নির্দেশ, মঙ্গলবারই নিরাপদ সর্দারকে জেল থেকে মুক্ত করতে হবে। তা না হলে পুলিশ আদালত অবমাননা করবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। বিচারপতিরা সাফ জানিয়েছেন য়ে, এতদিন নিরাপদ সর্দারকে যেভাবে আটকে রাখা হয়েছে তা সঠিক নয়। এভাবে কাউকে আটকে রাখা যায় না।
এদিনের শুনানিতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, সন্দেসখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে যে মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেই মামলায় পুলিশের কাছে অভিযোগপত্র দায়ের হয়েছিল ১০ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু পুলিশের তরফে এফআইআর দায়ের হয় ৯ তারিখ। অভিযোগ জমা পড়ার আগেই কীভাবে এফআইআর দায়ের হয়ে গেল? পুলিশের এই কাণ্ডে হতবাক বিচারপতিরা। এরপরও পুলিশের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ হবে না, সেই প্রশ্ন করেছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। বক্তব্য, যেভাবে এতদিন নিরাপদ সর্দারকে আটকে রাখা হয়েছে তার প্রক্রিয়া সঠিক নয়। এভাবে কাউকে টানা ১৭ দিন আটকে রাখা যায় না।
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: দুয়ারে লোকসভা, জেলা থেকে চমকে দেওয়া ঘোষণা মমতার
রাজ্যের তরফে এদিন আদালতে আইনজীবী রুদ্রদীপ নন্দী জানান, সন্দেশখালিতে বিক্ষোভ সংগঠনে নিরাপদ সর্দারের ভূমিকা রয়েছে, এফআইআরটি ওই অপরাধের জন্য। এরপরই বিচারপতি দেবাংশু বসাক প্রশ্ন করেন, 'এভাবে কি কাউকে গ্রেফতার করা যায়? একজন নাগরিককে এভাবে গ্রেফতারের কী ব্যখ্যা?' পাশাপাশি বিচারপতি জানতে চান, 'যারা গ্রেফতার করল তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না? এত দিন জেলে থাকার ক্ষতিপূরণ কে দেবে?'
নিরাপদ-র জামিন মঞ্জুরের পর সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, 'অপরাধীরা পুলিশের ঘেরাটোপে ঘুরে বেড়াবে। আর সত্যি কথা বলায় নিরাপদ সর্দারকে এতদিন অন্যায়ভাবে আটকে রেখে দিয়েছে। নিরাপদর বিরুদ্ধে দু'টো মামলা। একটা শিবু হাজরা করেছিল, অন্যটা ভানু মণ্ডল। দু'জনই মহিলাদের অভিযোগে অভিযুক্ত। আর প্রমাণিত হল যে, মমতা সরকার স্বৈরাচারী।'
আরও পড়ুন- Sandeshkhali Incident: ‘বিভীষিকাময়-চরম আতঙ্কের’, সন্দেশখালি নিয়ে এবার মমতাকে চিঠি ভিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর!
গত ১১ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয়েছিল সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে। সন্দেশখালিতে হিংসা ছড়ানোয় মদত দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। শেখ শাহজাহান ফেরার হওয়ার পর থেকেই সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে বিস্ফোরক নানা তথ্য প্রকাশ্যে এনেছিলেন তিনি। এরপরই হিংসায় প্ররোচনার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।