ঠিক কোন জমি নিয়ে বিশ্বভারতীর সঙ্গে অমর্ত্য সেনের বিবাদ, কারণ কী?: Exactly which land is the reason for Amartya Sen's dispute with Visva Bharati? | Indian Express Bangla

ঠিক কোন জমি নিয়ে বিশ্বভারতীর সঙ্গে অমর্ত্য সেনের বিবাদ, কারণ কী?

২০০৬ সালে অমর্ত্য সেনের আবেদনের ভিত্তিতে ওই জমির লিজ তাঁর নামে হস্তান্তরিত হয়।

House of Amartya Sen Pratichi 1
এই সেই বাড়ি, যার জমি নিয়ে অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতীর বিবাদ।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। আর, তিনি নাকি দখল করে নিয়েছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্থাপিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি? বর্তমানে এই বিতর্ককে ঘিরে দেশ-বিদেশ ঘিরে তৈরি হয়েছে তীব্র কৌতূহল। সবারই যেন একটাই প্রশ্ন, ব্যাপারটা কী? আসলে এই বিতর্কের সূত্রপাত ৮৮ বছর বয়সি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বাবার আমলে।

অমর্ত্য সেনের দাদু ক্ষিতিমোহন সেন ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। মা অমিতা সেন ছিলেন বিশ্বভারতীর আশ্রমিক। অমর্ত্য সেন নিজে বিশ্বভারতীতে লেখাপড়া করেছেন। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, গত শতকের চল্লিশের দশকে অমর্ত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেনকে ১২৫ ডেসিবেল জমি লিজ দিয়েছিল বিশ্বভারতী। ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছিল ওই জমি। সেখানেই তৈরি হয়েছে অমর্ত্য সেনদের পারিবারিক বাড়ি ‘প্রতীচী’। ২০০৬ সালে অমর্ত্য সেনের আবেদনের ভিত্তিতে ওই জমির লিজ তাঁর নামে হস্তান্তরিত হয়েছে।

শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাড়ি

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, পাশাপাশি লিজ দেওয়া দুই জমির মধ্যবর্তী বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিবল জমিও ‘প্রতীচী’র সীমানায় ঢুকে গিয়েছে। এমনভাবেই শিল্পী সুরেন কর, অর্থনীতিবিদ প্রণব বর্ধনের মত বেশ কিছু ব্যক্তির শান্তিনিকেতনের বাসভবনেও বিশ্বভারতীর জমি ঢুকে গিয়েছে। বিশ্বভারতীর জমির এমন ভুল নথির ঘটনা রয়েছে প্রায় ৭৮টি। এমনটাই দাবি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের।

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, রজতকান্ত রায় উপাচার্য থাকাকালীন এই ব্যাপারে অমর্ত্য সেনকে বারবার মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল। কিন্তু, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বিষয়টি নিয়ে গা করেননি। আর অমর্ত্য সেনের পালটা বক্তব্য, বিশ্বভারতী কোনও দিন তাঁকে জমি নিয়ে অনিয়মের কথা জানায়নি। সোমবার তিনি বলেন, ‘আমার বাবার কেনা ও লিজ নেওয়া জমি ওঁদের মতে নানা কারণে আমার প্রাপ্য নয়।’ তিনি বিষয়টি আইনিভাবে মোকাবিলা করার কথা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন- জমির নথি-সহ মুখ্যমন্ত্রী অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়াতেই উপাচার্যের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি বিজেপির

পালটা বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেছেন, ‘উনি যদি আদালতে যান, তবে সেটা তো ভালো। আমরাও চাইছি যে উনি কাগজপত্র জমা দিন। জমি সংক্রান্ত বিষয়টা পরিষ্কার হোক। ওই জমি তো আমাদেরই। আমাদের কাছেও কাগজ আছে।’

Stay updated with the latest news headlines and all the latest Westbengal news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Exactly which land is the reason for amartya sens dispute with biswa bharati

Next Story
মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, জমি বিতর্ক কি মিটবে? কী বলছেন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন?