তিনি চান, বিজেপি-আরএসএস দূর হোক এই দেশ থেকে। তাঁর ইচ্ছা, নকশালরা জিতুক এবং মমতা-কানহাইয়া প্রধানমন্ত্রী হোন। তিনি মনে করেন, এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়কে তিনি বন্ধু মনে করেন আজও। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে কবীর সুমনের খোলামেলা আলাপচারিতার দ্বিতীয় তথা শেষ পর্ব।
আপনি বলছেন, মমতা রাজ্যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন এবং মানুষ তাঁকে ভোটে ফেরাবেন না। তাহলে রাজ্যে এ মুহূর্তে প্রকৃত কোনও রাজনৈতিক লড়াই নেই?
বিজেপি আর সিপিএম নেগেটিভ লড়াই লড়ছে। নিন্দেবাচক লড়াই। ভাবতে পারেন, ওদের আক্রমণের বিষয়, হাওয়াই চটি! আমি তাই ওদের সিরিয়াসলি নিতেই পারছি না (কণ্ঠে তাচ্ছিল্য)। আর মমতা যা কাজ করেছে, তাতে মমতা লাইক অ্যা ক্যুইন বসে থাকতে পারে। আমি যদি মমতা হতাম, তাহলে বসে বসে শুধু হাসতাম। ওর এখন উচিত সম্রাট শাহজাহানের মতো সিংহাসনে বসে থাকা।
তাহলে মমতা সেটা করতে পারছেন না কেন?
মমতা আসলে কাজ না করে থাকতে পারে না। ওর বোধহয় একটা অদৃশ্য হুল ফোটে। সব কাজ ঠিকঠাক হচ্ছে কি না, এটা দেখাই মমতার অভ্যাস। তৃণমূলে আসলে একটা ভাইব্র্যান্ট ডেমোক্রেসি আছে বলেই এটা করতে হয়। জানেন, সোনারপুরে সিপিএম থেকে তৃণমূলে আসা কয়েকজন কৃষক একবার আমায় বলেছিলেন, "স্যার আপনি তো এই রাজনীতি করেন না। আপনি তো বিপ্লবী ধরনের মানুষ। কিন্তু আপনাকে যদি এই দলটা করতে হয়, তাহলে রেজিমেন্টেড পার্টি করতে হবে।" আমারও আজ মনে হয়, এখানে রেজিমেন্টেশন থাকলে ভাল হত। তবে তৃণমূলে সেটা হয়নি, আর হবেও না। কারণ, মমতা যেন রবীন্দ্রনাথের 'খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে' গানটা গাইতে গাইতে বেঁচে আছে। ওর বদ্ধ কোনও কিছু ভাল লাগে না। সারাক্ষণ কথা বলে চলেছে...
মমতার কি একটু বাক্ সংযম প্রয়োজন?
না, না। এখন একটু কম কথা বলছে। এক সময় একটু বেশি বলছিল (স্মিত হাসি)।
আপনার কোন মমতাকে পছন্দ, প্রগলভ না কী মিতভাষী মমতা?
অবশ্যই, কম কথা বলা মমতা।
আপনি বন্ধু মুকুলের কথা বলছিলেন। মুকুল রায়ের এই দল বদলকে কীভাবে দেখছেন?
আরে ধুর, এসব কোনও ব্যাপার না। ও দেখবেন আবার একদিন ফিরে এসেছে...
বলেন কী! মুকুল রায় আপনাকে কিছু বলেছেন? তাঁর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন?
মুকুলকে আমার ভাল লাগে। আসলে আমার যাঁদের ভাল লাগে, পাবলিক তাঁদের পছন্দ করে না। যেমন, মদনকে (মদন মিত্র) আমার ভাল লাগে। মদনের মতো এমন চমৎকার মানুষ, যিনি সব সময় অপরের কথা ভাবেন, এমন খুব একটা পাবেন না। সিপিএম আমলে মদন এসএসকেএম হাসপাতালে যত জনকে চিকিৎসার জন্য ঢুকিয়েছেন, সে কথা যদি সিপিএম স্বীকার করত, তাহলে ওদের বংশ পরিচয়টা একটু ভাল হত। দেখুন, আমি যা দেখেছি তাতে মুকুল একজন ঠান্ডা মাথার মানুষ। মুকুলকে একদিন স্পষ্ট ভাষায় একটা কথা বলতে শুনেছিলাম...
কী কথা?
সংসদের বাইরে দাঁড়িয়ে উনি বলেছিলেন, "কবীর দা, তুমি আর মহাশ্বেতাদি যদি না থাকতে, আমরা আজ এই জায়গায় আসতে পারতাম না।" এরপর উনি আরও দু-এক জনকে বললেন, "এটা তোমরা মনে রেখ। কবীর দা যে এই ছটফট করছেন, কারণ উনি আমাদের স্তর থেকে আসেননি। উনি অন্য রকম মানুষ।"
এটা কি সেই সময়, যখন আপনি অপারেশন গ্রিন হান্টের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন?
হ্যাঁ বন্ধু, এটা সেই সময়। সে সময় আমি কেবল মিডিয়াতেই কথা বলছিলাম।
সেই সময় তো আপনার সাংসদ তহবিলের টাকা বণ্টন নিয়েও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটা সমস্যা হয়েছিল। আপনার 'খাও,খাও,খাও' মন্তব্য ভাইরাল হয়েছিল।
হ্যাঁ, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা তৎকালীন দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার তৃণমূলের সভাপতি বেশ কিছু বোকা বোকা কথা বলেছিলেন, আমিও সে সবের উত্তর দিয়েছিলাম। বাট হি ইজ নট আ ব্যাড ম্যান। আসলে, রাজনীতি একটা জটিল খেলা। আমার সঙ্গে যদি শোভনের আজ দেখা হয়ে যায় আমরা কথা বলব, আমাদের কোনও শত্রুতা নেই। সে সময় তিনি কিছু অদ্ভুত কথা বলেছিলেন, আমিও বলেছিলাম। এটা অনেকটা টেবিল টেনিস খেলার মতো, উনি একটা বল মারছেন, আবার আমিও সেই বলটাকে একই কায়দায় পাল্টা মারছি। কিন্তু, মুকুলকে বরাবর আমার খুব ভাল লাগত...
তাই?
আরে, হ্যাঁ তো। ও খুব ঠান্ডা মাথার ছেলে। যখন সিপিএম আমাদের তারা চ্যানেল আক্রমণ করল, তখন একমাত্র মমতা ছুটে এসেছিল। মমতার সঙ্গে ছিল মুকুল। মুকুল আমায় বলল, "কবীর দা, এরপর যদি হয়, তুমি আগে থেকে আমায় বোলো।" আমি বললাম, "আগে থেকে আক্রমণের কথা তোমায় কী করে বলব?" ও তখন বলল, "ঠিক আছে, আমি একে ওকে বলে দেব...ইত্যাদি।" মানে ও ব্যাপারটা দেখে নেবে বলেছিল। জানেন, এটা আমার খুব ইন্টারেস্টিং লাগত। আমি আপনাদের খোলাখুলি বলছি, আমরা যেরকম ভাবি, পলিটিক্সটা তেমন একমাত্রিক নয়। অথচ আমরা মনে করি, এটা হয় 'অবাক জলপান'-এর মতো নাটক, নয়তো 'বধূ মিছে রাগ কোর না' গানটার মতো, অথবা মাও সে তুং-এর মতো বন্দুক হাতে নেমে পড়লাম...'কদম কদম বঢ়ায়ে যা' বলতে বলতে দিল্লিতে গিয়ে পৌঁছলাম, তা তো না (মুখে প্রাজ্ঞ হাসি)...
মুকুল রায়ের কি অভিমান হয়েছে?
দেখুন, মুকুলের কী অভিমান আমি জানি না। তবে, মুকুলের মন খারাপ (সুমনের মুখেও সহমর্মিতার ছাপ স্পষ্ট)। মুকুল তখনও দল বদলায়নি, আমি সে সময় খবরের কাগজে ওর ছবি দেখে ওকে ফোন করলাম। বললাম, "এই মুকুল, তোমার কী হয়েছে? মন ভাল নেই?" ও বলল, "না কবীরদা, আমার মন ভাল নেই।" আমি তখন বলেছিলাম, "মুকুল, আমরা কিন্তু বন্ধু। আমি ওসব কেয়ার করি না (মুখে পরিচিত বেতোয়াক্কা ভাব)। তোমার যদি ভাল না লাগে, তাহলে আমার বাড়িতে এসে একদিন কাটিয়ে যাবে।" আহা, আমার সঙ্গে তো মুকুলের কোনও শত্রুতা নেই, তাহলে বলব না কেন! আরে, নরেন মোদীর সঙ্গেও তো আমার কোনও শত্রুতা নেই...
নরেন্দ্র মোদীকে আপনার কেমন লাগে?
খুব ভাল লাগে। তবে, দেশের নেতা হওয়ার কোনও যোগ্যতা ওঁর নেই। উনি একবার কলকাতায় এসে বলেছিলেন, রাজ্যে পথেঘাটে মহিলাদের জন্য শৌচালয় বিশেষ নেই। এই পর্যবেক্ষণটা আমার ভাল লেগেছিল। অবশ্য, তৃণমূল সরকার এসে প্রচুর শৌচালয় তৈরি করে দিয়েছে।
আপনি একদা রাজ্য সরকারের একটি পুরস্কার নেওয়ায় এক কবি কলম ধরেছিলেন। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা ব্রিগেড সভায় আপনাকে এবং তাঁকে এক মঞ্চে দেখা গেল। বিরোধে কি ইতি?
দেখুন, আমি খোলাখুলি বলছি, ওই মানুষটাকে আমি কখনও অসম্মান করিনি। আমি যেখানে যেখানে যেতাম, উনিও সেখানে গিয়ে আমার পায়ের কাছে উবু হয়ে বসে থাকতেন। গুণী ছেলে। অন্ত্যমিল দিয়ে কবিতা লেখেন, ছড়া লেখেন। কিন্তু, হঠাৎ উনি আমার শিরদাঁড়া নিয়ে চিন্তিত হয় পড়লেন (মুখে ক্ষোভ স্পষ্ট)। আমার মনে হয় ওঁর কোনও সমস্যা আছে। আমার সেদিন ওই সভামঞ্চ থেকে চলে আসতে ইচ্ছা করছিল। ওঁকে সম্মান করার কোনও কারণ আমি দেখছি না (মুখে চোখে তীব্র বিরক্তি)।
তাহলে বিরোধ মেটেনি?
না, না। আরে, আমি সরকারের থেকে একটা পুরস্কার নিয়েছি। উনিও তো নিয়েছেন। তবে অত বড় পুরস্কার পাননি, কিন্তু একটা ছোট পেয়েছিলেন। আর একজনও আছেন...
কে তিনি? তিনি আবার কী করলেন?
তিনি সিনেমায় প্রথম প্লে-ব্যাক করেছেন আমার সৌজন্যে। গানটি ভূপিন্দরের গাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তাঁকে না নিয়ে আমি এই বাঙালি যুবককে নিয়েছিলাম। 'সেদিন চৈত্রমাস' সিনেমায় হিরোর লিপে তিনি গাইলেন। আমি কিন্তু গাই নি, অথচ ইচ্ছা করলেই গাইতে পারতাম। আমি সঙ্গীত পরিচালক ছিলাম, আমারও কদর কম ছিল না। দেখুন, তিনি সিপিএমের লোক ছিলেন। 'তোমাকে চাই, চাই না' এই বলে সে সময় তিনি অনুষ্ঠান শুরু করতেন। এরপর এইচএমভি-কে দিয়ে আমি যুগল অনুষ্ঠান করালাম, কালক্রমে এসব (ঝামেলা) মিটে গেল। সাংবাদিকরা তখন পিছনে লেগে গিয়েছিলেন, তাই আমি এই চালটা চালি। একই মঞ্চে একবার চলে আসায় এরপর উত্তেজনা প্রশমিত হল।
তারপর...
তারপর হল কী, তিনি তো ছিলেন সিপিএমে। কিন্তু হঠাৎ একদিন সুযোগ বুঝে সেই তিনিই চলে এলেন তৃণমূলে (মুখে অর্থবহ হাসি)। কিচ্ছু বলার নেই। এটা ওঁর ব্যাপার এবং দলনেত্রীর ব্যাপার। কিন্তু, গণসংগ্রামের ধারে কাছে উনি ছিলেন না। গণসংগ্রামের ধারে কাছে যাঁরা ছিলেন না, তাঁরাই এখন আছেন, বেশ আনন্দের কথা। থাকুন। এবার উনি আবারও আমার পিছনে লাগা শুরু করলেন। 'জাতিস্মর' সিনেমার জন্য আমি যখন জাতীয় পুরস্কার পেলাম, উনি তখন একটি সংবাদপত্রে লিখলেন, 'ও তো মিউজিকের কিছুই জানে না। ওটা (সিনেমার গানগুলি) কিছুই হয়নি'। এরপর হঠাৎ দেখলাম, একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে উনি একটা গিটার নিয়ে এসে আমার পিছনে দাঁড়িয়ে টিং টিং করছেন (মুখে চোখে ঘৃণা)। কী বলব বলুন তো... আমি স্পষ্ট বলে দিচ্ছি, যদি দেখি কোনও সভায় ওরা (কবি ও গায়ক) আছে, তাহলে আমি সেই সভায় যাব না।
আমি চাই: মমতা-কানহাইয়া প্রধানমন্ত্রী হোন, জিতুক নকশালরাও
ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার সভায় ওঁরা যে উপস্থিত থাকবেন, আপনার জানা ছিল না?
না, আমি জানতাম না। আমি যদি জানতাম, তাহলে যেতাম না। সেদিনের সভা থেকে বেরিয়েই আমি ইন্দ্রনীল সেন মহোদয়কে ফোন করে যা বলার বলে দিয়েছি।
কী বলেছেন?
বলেছি, "এই দ্যাখো, তুমি তো এখন বড় জায়গায় আছ। এই দু'জন প্রাণী যদি থাকে, তাহলে আমায় যেতে বোলো না। আমি কিন্তু, সেক্ষেত্রে অসুবিধা করে দেব।" আমি কারও খাই না, পরি না। আমি সিপিএমকেও তেল দিইনি, তৃণমূলকেও তেল দিই না। অনুষ্ঠান পাওয়ার জন্য আমার সিপিএম ভজনাও ছিল না, তৃণমূল ভজনাও নেই। এটাই আমি (চোখে চেনা আস্ফালন)।
আপনি যা বলছেন, সেসব কথার কিন্তু প্রতিক্রিয়া হবে....
ধুর...আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি, আমি। যা সত্যি, তাই বলে দিচ্ছি। আমার জীবন বাঁচা হয়ে গিয়েছে। আমি একমাত্র এমপি, যার কোনও মোটরগাড়ি নেই। বাবা-মা এই ছোট্ট বাড়িটি রেখে গিয়েছেন, এখানেই আমি থাকি। এখান থেকে তো আর কেউ আমাকে বের করে দিতে পারবেন না। আমার আর রোজগারের দরকার নেই। আমার খুব ভাল লাগল, কারণ আপনি এই প্রশ্নটা তুললেন...
ভাল লাগল?
হ্যাঁ। কারণ, এটা লড়িয়ে দেওয়ার প্রশ্ন নয়। এনিওয়ে, আমি ইন্দ্রনীল মহোদয়কে এই কথাটা জানিয়েছি। এখন উনি যদি অস্বীকার করেন, তাহলে উনি মিথ্যা বলবেন।
ইন্দ্রনীল সেন কী বললেন?
উনি বললেন, "কবীরদা, আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই কথাটা পৌঁছে দেব। তবে উনি কী সিদ্ধান্ত নেবেন তা আমি জানি না।" আমি বললাম, "সেটা তোমায় ভাবতে হবে না। তুমি শুধু কথাটা পৌঁছে দিও।" কিন্তু, (ওরা যদি থাকে) আমি আর কোনওদিন যাব না। গেলেও, 'সেলাম আলেইকুম' বলে চলে আসব। এই হীনতা শুধু বাঙালিরই আছে। সারা দেশে আমার বন্ধু রয়েছে। তাছাড়া সংসদে গিয়েও দেখেছি, অনেককে দেখেছি।
কী দেখেছেন?
অন্যান্য রাজ্যের মানুষরা এমন না। আমাকে তো অন্য দল থেকে ভোটে দাঁড়াতেও অনুরোধ করা হয়েছে।
কোন দল?
সেটা বলব না। তবে বিজেপি-ও না, সিপিএমও না। আরও অন্য দল রয়েছে। মাস দুয়েক আগেও বলেছে। এই ভোটেই দাঁড়াতে বলেছিল (মুখে চিলতে হাসি)।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে?
হ্যাঁ। এছাড়া এ রাজ্যের বাইরে, যেমন রাজস্থান থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়েছিল।
রাজি হলেন না কেন?
না, আমি আর ভোটে দাঁড়াব না। তাছাড়া, সাতটি বিধানসভা চষে ফেলার মতো শারীরিক তাকতও আর নেই আমার।
সম্প্রতি এক জলসায় বলেছিলেন, বিজেপি-কে হারাতে পারলে আপনি বিনা পয়সায় সারা রাত ধরে গান শোনাবেন। ধরুন, ২৩ মে লোকসভার ফলাফলে বিজেপি পর্যুদস্ত হল। তাহলে, আপনি নিজে প্রথম কোন গানটি গেয়ে উঠবেন?
আহা-হা-হা-হা (যেন সত্যিই হয়, এমন অভিব্যক্তি)। বলা মুশকিল। আমি না, কোনও গান গাইব না প্রথমে। আগে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে গিয়ে ধেই ধেই করে খানিকক্ষণ নাচব। তারপর না হয় ভাবা যাবে, গান-টান নিয়ে....
(শেষ)