সংসদে ঘুষের বদলে প্রশ্ন কাণ্ডে ইতিমধ্যেই লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত মহুয়া মৈত্র। সরব হয়েছেন খোদ মহুয়া। সোচ্চার তৃণমূল নেত্রী। এথিক্স কমিটির এক্তিয়ার নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন কৃষ্ণনগরের বহিষ্কৃত সাংসদ। এখানেই থেমে থাকছেন না মহুয়া। এবার হেস্তনেস্ত চেয়ে আইনের দ্বারস্থ হলেন তিনি। সূত্রের খবর, এথিক্স কমিটির তদন্ত রিপোর্ট লোকসভায় পেশ হওয়ার আগেই সংবাদমাধ্যমে কীভাবে ফাঁস হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া। এথিক্স কমিটির এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সাংসদকে বহিষ্কারের ক্ষমতা একমাত্র রয়েছে সংসদের স্বাধিকার রক্ষা কমিটির। এক্ষেত্রে তা মানা হয়নি কেন সেটা জানতে চাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, তদন্তের নামে তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণের প্রসঙ্গটিও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে মামলা দায়ের করলেন মহুয়া মিত্র। শীঘ্রই ওই মামলা শুনানির জন্য শীর্ষ আদালতে তালিকাভুক্ত হতে পারে। মোট ১৫ পাতার আবেদন পত্র জমা দিয়েছেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদ বলে আদালত সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন- চব্বিশে টেট, নাকি গীতাপাঠ? হেস্তনেস্ত চেয়ে বড় পদক্ষেপ বিজেপি’র
ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির হলফনামা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে মহুয়ার তরফে। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার তথা দেশের শাসকদলের ধারাবাহিক সমালোচনা করার কারণেই তাঁকে 'নিশানা' করে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে 'সংখ্যাগরিষ্ঠতার ঔদ্ধত্য।' যা যুক্তি, আইন, এক্তিয়ার সব কিছু লঙ্ঘন করেছে। মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে নগদের বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং আইনজীবী জয় দেহাদ্রাই। সে কথা উল্লেখ করে আবেদনে বহিষ্কৃত সাংসদ লিখেছেন, 'জয়ের উদ্দেশ্য সহজেই অনুমেয়।' নিশিকান্ত ও জয়ের অভিযোগের বয়ান তুলে ধরে আবেদনে মহুয়া দেখাতে চেয়েছেন, তার মধ্যে কতটা 'পরস্পর বিরোধিতা' রয়েছে।
মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ব্যবসায়ী দর্শনের কাছ থেকে উপহার ও টাকা নিয়ে সংসদে শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই প্রশ্নে তিনি আদানির সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও। সাংসদের লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ডও দর্শনকে মহুয়া দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ছিল নিশিকান্ত এবং জয়ের। মহুয়া অবশ্য ইতিমধ্যে একাধিক বার জানিয়েছেন, বন্ধু দর্শনকে তিনি আইডি, পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন শুধুমাত্র তাঁর প্রশ্নগুলি 'টাইপ' করে দেওয়ার জন্য। কৃষ্ণনগরের বহিষ্কৃত সাংসদের এ-ও দাবি, ওই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম বা বিধি নেই।